জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আর্য খুব ভেঙে পড়েছে অপর্ণার চাকরি ছেড়ে দেওয়াতে। হঠাৎ করেই আর্যর কাছে একটা ফোন আসে, ফোনের ওপার থেকে বলা হয় যে আর্যর প্রাণ-ভোমরা এখন তাঁর কাছে, বাঁচাতে হলে সেখানে যেতে হবে। আর্য কিছুতেই বুঝতে পারে না, কার কথা বলছে ব্যক্তিটি। অপরদিকে রাতের দিকে অপুর বাড়ির সামনে একটা গাড়ি এসে দাঁড়ায়, ইন্টারভিউ দিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
অপু তাড়াতাড়ি করে তৈরি হতে থাকে। সতীনাথ অপুর সঙ্গে যেতে চায়, কিন্তু অপু তাকে নেয় না। অপু গাড়িতে উঠে পড়ে। কিছুদূর গিয়ে দেখে ফোনে কোনও নেটওয়ার্ক নেই, অপরদিকে আর্য বুঝে যায় অপুর বিপদ হয়েছে। আর্য তাড়াতাড়ি করে অপুর বাড়িতে যাওয়ার পথেই রুম্পার সঙ্গে দেখা হয়। যা যা হয়েছে রুম্পা সবটাই জানায়, আর্য বুঝে যায় এই ইন্টারভিউ আসলে একটা ফাঁদ। রুম্পাকে কিছু না জানিয়েই, আর্য এবার অপর্ণাকে খুঁজতে চলে যায়।

অপরদিকে অপু সেখানে পৌঁছে খুব অস্বস্তিতে পড়ে। জায়গাটা মোটেও কোনও অফিসের মতো না, বরং একজনের বাড়ি। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই অপুর সামনে আসে ছদ্মবেশী মেঘরাজ। নিজের আসল রূপে ফিরতেই, মেঘরাজকে দেখে অপুর মনে পড়ে এই লোকটাকে সে আগেও দেখেছে। খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়ে অপু, মেঘরাজ জানায় আর্যকে দরকার তার। অপুকে ফোন করে আর্যকে ডাকতে বলে সে। অপু আর্যর কোনও ক্ষতি হতে দেবে না।
অপু বুদ্ধি করে মেঘরাজকে নিজের জালেই ফেলে দেয়। একের পর এক আঘাত করে মেঘরাজকে অজ্ঞান করে পালিয়ে যায় অপু, পিছু নেয় গু’ন্ডারা। ঠিক সেই মুহূর্তে আর্যর গাড়ি দেখে অপু উঠে পড়ে। দুজনে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে শুরু করে, হঠাৎ এমন বৃষ্টি শুরু হয় যে মাঝপথেই গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। আশ্রয়ের জন্য জায়গা খুঁজতেই আর্যর চোখে পড়ে একটা বাড়ি। যেটা তার অতীতের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুনঃ “স্বামী-স্ত্রী একদিন, পরদিন অন্য কাউকে বউ বলছে!” “আজ হাসল, কাল মুখ গোমড়া!”— বিচ্ছেদ-বিয়ের ট্রেন্ড নিয়ে বি’স্ফো’রক শকুন্তলা বড়ুয়া-কল্যাণী মণ্ডল! ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে তারকাদের সম্পর্ক ভাঙন নিয়ে বর্তমান প্রজন্মকে খোঁচা দুই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর!
তবুও দ্বিধা না করে অপুকে নিয়ে ঢুকে যায়, ভবিতব্যকে দোষ দিয়ে। এদিকে অপুর বাবার খুব চিন্তা হতে থাকে, অপুর বাড়ি না ফেরা নিয়ে। অপুর মা বোঝাতে থাকেন যে অপুর কিচ্ছু হবে না। এদিকে আর্য অপুর জন্য খাওয়ারের খোঁজ করতে যায়। ঘটনাচক্রে অপুর হাতে পড়ে, সেই বাড়িতে থাকা আর্যর বিয়ের ছবি। আর্যকে পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করতেই অজ্ঞান হয়ে যায় অপু।