জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

অপর্ণার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ফাঁস! সিসিটিভি ফুটেজেই ধরা পড়ল মীরার মুখোশ! অর্কর সামনে সত্যি বলল মীরা, আর্যর বিশ্বাস ভেঙে গেল এক নিমেষে! ভুল অপর্ণার নয়, তবুও থানায় গেল নিজেই!

জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকের আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অপুর বাবাকে। ডাক্তার জানিয়ে দেন তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে আর্য বলে, “মধ্যবিত্তের কাছে সবথেকে আগে সন্মান, আর সতীনাথ বাবুর সেটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু আমি ঠিক ফিরিয়েই ছাড়ব।” এই কথা শুনে অপর্ণা রেগে যায়, আর্যকে জানিয়ে দেয় যে টাকা আছে বলেই সে যখন যা ইচ্ছা করতে পারেন না।

তবে বাবার কিছু হলে যে কাউকে ছাড়বে না, এই কথা অপু স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। অন্যদিকে মীরা মনে মনে অনুতাপে শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেই সবাইকে বলে দিতে চায়, যে অপু নির্দোষ। কিন্তু কিঙ্কর বাধা দিয়ে বলে, যদি মীরা সত্যিটা বলে দেয় তারপর আর্য আর কখনও তাঁকে ভরসা করবে না, ভালোবাসা তো দূরের কথা। এরপর হাসপাতালে পুলিশ আসে অপর্ণাকে গ্রেপ্তার করতে, আর্য চুরির অভিযোগ তুলে নিয়ে পুলিশকে ফিরে যেতে বলেন।

Chirodini Tumi Je Amar, Ditipriya Roy, Jeetu Kamal, Tonni Laha Roy, Avrajit Chakraborty, Arka Jyoti Paul Chaudhury, Zee Bangla, Arya-Aparna, Bengali Serial, Chirodini Tumi Je Amar Today Episode, New Episode, চিরদিনই তুমি যে আমার, দিতিপ্রিয়া রায়, জিতু কামাল, তন্বী লাহা রায়, অভ্রজিৎ চক্রবর্তী, অর্কজ্যোতি পাল চৌধুরী, জি বাংলা, আর্য-অপু, বাংলা সিরিয়াল, চিরদিনই তুমি যে আমার আজকের পর্ব, নতুন পর্ব

কিন্তু অপর্ণা তাঁর কোনও কথা শোনে না, বরং স্বেচ্ছায় পুলিশের সঙ্গে থানায় চলে যায় সে। এদিকে অর্ক বাড়ি ফিরে মাকে সবটা বলে, যে অপর্ণা কেমন প্রতারণা করেছেন। কিন্তু মা বিশ্বাস করেন না, বরং বলেন, যাঁকে এতদিন বাদে মনে ধরেছে আর্যের সে এমন কাজ করতে পারে না। অন্যদিকে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অপুর মা। আর্য প্রতিজ্ঞা করে, যে ভাবেই হোক অপুকে নির্দোষ প্রমাণ করে সন্মান ফিরিয়ে আনবে।

এরপর দেখা যায়, থানায় গিয়ে অপর্ণা পুলিশকে লকআপে ঢোকানোর অনুরোধ করে। পুলিশকে অপর্ণা বলে, তাঁর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আর বাড়ি থেকেই টাকাও উদ্ধার হয়েছে। তাই তাকে হেফাজতে নিক পুলিশ। কিন্তু পুলিশ বলে, প্রত্যক্ষ প্রমাণ না পেলে সেটা সম্ভব নয়। অন্যদিকে আর্য অফিস পৌঁছে দেখে সবাই অপর্ণাকে নিয়ে আলোচনা করছে। মীরাকে ডেকে মূল ঘটনা জানতে চায় আর্য। মীরা সবটা বলে যে টাকা পাওয়া যাচ্ছিল না,

তাই অপুকেই অভিযুক্ত হিসেবে ধরা হয়। ঠিক মতো তদন্ত না করেই কেন অপর্ণা বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে? মীরাকে এই প্রশ্নই করে আর্য। এরপর মীরাকে গত দু’দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চায় আর্য, সেই ফুটেজেই দেখা যায় মীরা রাতের অন্ধকারে অফিসে এসেছিল। আর্য সরাসরি প্রশ্ন করে মীরাকে, কেন অপর্ণার এতবড় ক্ষতি করলো সে? অর্ক মীরাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেও,

আর্য বলে যে টাকার জায়গার চাবি অপর্ণার সঙ্গে মীরার কাছে একমাত্র থাকে। মীরা চাপে পড়ে স্বীকার করেই নেয়, সে শুধু টাকা লুকিয়েছিল অপুকে কাজ থেকে বের করে দেওয়া জন্য। তাহলে কে রাখলো অপুর বাড়িতে টাকা? আসল অপরাধী কে? আপাতত সেই খোঁজ বন্ধ রেখে, থানায় গিয়ে আর্য প্রমাণ দিয়ে অপর্ণাকে ছাড়িয়ে আনে। এরপর অপর্ণা আর্যকে বলে, তাদের পথ কখনওই এক হওয়ায় নয়। আর এই কথাটা আর্য যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই ভালো।

Piya Chanda