জি বাংলার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ (Chirodini Tumi Je Amar) ধারাবাহিকে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, অপর্ণা তার বাবার কথায় রাজি হয়ে আর্যর কোম্পানির চাকরিটা ছেড়ে দেয়। এদিকে আর্য মনমরা হয়ে অপুকে একবার দেখার জন্য বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করতে থাকে, অন্যদিকে অপুও কষ্ট পেতে থাকে এই সিদ্ধান্তে।
আর্য অপুর ভবিষ্যতের জন্যে শুভকামনা করতে থাকে, এদিকে অপু ভাবতে থাকে যে আর্যকে ছাড়া সে বাঁচতে পারবে না। অপুর মনে মনে ভাবে, এই অল্প কয়েকটা দিনই আর্য তাঁর জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। যাঁর সঙ্গে জীবনের প্রতিটি সুখ দুঃখ ভাগ করতে না পারলে শান্তি হয় না, তার মুখ না দেখে কি করে জীবন কাটাবে।

অপুর এই মানসিক অবস্থা আঁচ করতে পারে তার মা-বাবা, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তারা অপুকে আলাদা রাখতে চায়। অপু নিজেকে সান্তনা দিতে ছাদে যায়, তখনই রুম্পা এসে জানায় যে আর্য নিচে অপেক্ষা করছে। অপু দেখতে গিয়ে দেখে আর্য চলে যাচ্ছে। রুম্পা হাজারো বোঝানোর পরেও অপু নিজের সিদ্বান্ত অনড়।
নতুন কাজে ইন্টারভিউ দিতে যাবে বলে রুম্পাকে জানায় অপু। অন্যদিকে অফিসে আর্যকে কিঙ্কর দুঃখপ্রকাশ করে অপুর চাকরি ছেড়ে দেওয়াতে। আর্য জানায়, এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি খুশি কিঙ্করেরই হওয়ার কথা। কারণ মীরার এতো সাহস নেই, অপুর বাড়িতে গিয়ে টাকা রেখে আসবে। কিঙ্করকে আর্য কথা দেয়, অপর্ণাকে ফিরিয়ে আনবেই।
আরও পড়ুনঃ শুটিংয়ের মাঝেই গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা ফাহিম মির্জা! ছবি দেখে উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা! হঠাৎ কী ভাবে অসুস্থ হলেন অভিনেতা? এখন কেমন আছেন তিনি?
রুম্পা রাতে অর্যকে ফোন করে অপুর ইন্টারভিয়ের কথাটা জানায়। এদিকে অর্ক এসে অপুর ইস্তফা দেওয়ার কাগজটা দেখায়, আর্য ঠিক করে রাজনন্দিনী শাড়িকে হাতিয়ার করেই অপুকে আবার ফিরিয়ে আনবে। অপর্ণা নতুন কাজের ইন্টারভিউতে যায়, অর্ক সতীনাথকে অনুরোধ করে যে অপু না ফিরলে কোম্পানির ক্ষতি হবে। সতীনাথ রাজি হয়ে যায়, অপর্ণাকে আবার কাজে ফিরতে বলে তিনি।