জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Jowar Bhanta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, ঋষির মা নিজের মন খুলে জ্যোতিকে গয়না পরাতে থাকেন আর বলেন এইসব গয়না আজ থেকে জ্যোতির। উজি ওরফে জ্যোতির অস্বস্তি হতে লাগে এইসবে। সে ভাবতে থাকে যে, বিয়ের দিন যখন সবকিছু নিয়ে পালিয়ে যাবে, তখন সব থেকে বেশি আঘাত হয়তো ঋষির মা-ই পাবে।
ঋষি যাই করে থাকুক না কেন, ঋষির মাকে অত্যন্ত ভালো মানুষ বলেই মনে হয় উজির। কোথাও না কোথাও ঋষির মায়ের মধ্যে উজি নিজের মাকে খুঁজে পায়। এমন সময় বাবাকে খুঁজতে খুঁজতে নিশা ওরফে বিভা ঋষির মায়ের ঘরের সামনে এসে উপস্থিত হয়। সেখানে নিশাকে নিজের অস্বস্তির কথা উজি জানালে, সে কোনরকম গুরুত্ব করে না।
ওদিকে জ্যোতিদের বাবাকে চূড়ান্ত নে’শা করিয়ে, ঋষির কাকা, জামাইবাবু এবং মেসোমশাই জেরা করতে থাকেন। শিবনারায়ণ বাবু শুধু বলতে থাকেন যে তিনি অভিনয় করছেন আজীবন ধরে বিভিন্ন চরিত্রে। এতে তাদের সন্দেহ হয় যে জ্যোতিরা নিশ্চই ছদ্মবেশে কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে। বারবার শিবনারায়ণকে তার আসল পরিচয় জানতে চাইলেও, তিনি নেশার ঘোরে কিছু বলেন না।
শেষে পুলিশের হুমকি দেখায় ঋষির কাকা। তৎক্ষণাৎ সেখানে নিশা ওরফে বিভা উপস্থিত হয় এবং সবাইকে প্রশ্ন করতে থাকে, তাদের বাবার সঙ্গে কেমন আচরণ কেন করছে তারা! নিশা পরিষ্কার করে বলে দেয় যে, তার বাবা জীবনটাকেই একটা রঙ্গমঞ্চ মনে করে, তাই অভিনয়ের কথা বলেছে। নিশা জানায়, দু’দিন বাদে যেখানে বোনের বিয়ে ঋষির সঙ্গে। সেখানে এখনও তাদের নিয়ে সন্দেহ করছে ঋষির বাড়ির লোক।
আরও পড়ুনঃ মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখল পারুল! পুলিশের এনকা’উন্টা’রেই শেষ পারুলের মায়ের গল্প, মেয়ের চোখের সামনেই মু’ছে গেল মাতৃত্বের ছায়া!
তাই নিশা কিছুতেই এই বাড়ি ছেলের সঙ্গে নিজের বোনের বিয়ে দিতে চায় না। এদিকে একান্তে ঋষি জ্যোতিকে জানায়, তার অতীতে একটা ভয়াবহ ঘটনা তাকে বড়লোক বাড়ির বকাটে ছেলের থেকে সংযত ঋষি বানিয়েছে। কি ঘটনা সেটা বলার আগেই সবার চিৎকার শুনে তারা ছুটে যায়। সেখানে ঋষির বিয়ে ভেঙে যাওয়ায়, তার মা সবাইকে দোষ দিতে থাকেন, ঋষির সুখ নাকি কারোর সহ্য হয় না! বিয়ে ভেঙে গেছে শুনে, ঋষি আর জ্যোতিও স্তম্ভিত হয়ে যায়।
