জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

সঙ্গীতের আনন্দে নেমে আসছে অন্ধকার! প্রতিশোধের অন্ধ জালে জড়িয়ে পড়ছে উজি, ফুলের তোড়া ছুঁলেই শেষ হতে পারে জীবন! বাবার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে, অন্যের প্রতিশোধের ফাঁদে পড়ে যাবে কি সে?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Jowar Bhanta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, উজিকে সঙ্গীতের জন্য সাজতে দেখে নিশার মনে হয়, সে ঋষিকে দেখানোর জন্য বেশি করে সাজছে। উজিকে নিশা আবার মনে করিয়ে দেয় যে এই বিয়েটা সত্যি সত্যি হচ্ছে না আর ঋষি তাদের বাবার খুনি, তাই তাঁকে ভালোবাসার কথাও যেন মাথায় না এনে সে।

উজি স্পষ্ট করে দেয় যে, সে ঋষিকে ভালোবাসে না। সেও সবকিছু নিজের বাবার অকাল মৃ’ত্যুর প্রতিশোধ নিতেই করছে। এরপর ভানু এসে জানায় যে, ঋষির দিদির গয়নার দোকান থেকে সব খবর নিয়ে এসেছে সে। কখন, কোন রাস্তা দিয়ে গাড়ীতে করে সব গয়না পাঁচতারা হোটেল যাবে সব খবর ভানু নিশাকে দেয়। কিন্তু একটাই সমস্যা, এবার যেহেতু বারো কোটি টাকার গয়না তাই নিরাপত্তাও তেমন থাকবে।

নিশা নিজের প্ল্যান ভাগ করে নেয় ভানুর সঙ্গে। সবটা শুনে ভানুর প্রতিক্রিয়া থেকেই বোঝা যায়, তার এই প্ল্যান কতটা পছন্দ হয়েছে। উজি যদিও চিন্তায় পড়ে যায়, কি করে নিশা একদিনে দুটো জায়গা লুট করবে! নিশাকে উজি সাবধান করলেও, সে কিছুতেই শুনতে চায় না। এরপর ঋষি আর উজি ওরফে জ্যোতির আশীর্বাদ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমেই পাশাপশি বসিয়ে ঋষির মা দু’জনকে আশীর্বাদ করেন।

ঋষির মা জ্যোতিকে আশীর্বাদ করে একটি অত্যন্ত দামী নেকলেস উপহার দেন। কিন্তু জ্যোতি কিছুতেই নিতে চায় না, জোর করে ঋষির মা তাকে পরিয়ে দেন সেই উপহার। এরপর সঙ্গীত অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমেই দাদু নাচতে শুরু করেন, সঙ্গে নাতনীরা। তারপর নাচ পরিবেশন করেন, ঋষির বাবা-মা এবং কাকু-কাকিমা। এত আনন্দের মধ্যেও উজির মন ভার। সে গ্লানিবোধ করতে থাকে, সবাইকে ঠকাচ্ছে তাই।

নিশা উজিকে শক্ত থাকতে বলে আর একটা দিন, তারপর সবটা ঠিক হয়ে যাবে। উজি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। নিশা আর উজির নাচ শেষ হলে, সবাই ঋষি আর উজি ওরফে জ্যোতিকে একসঙ্গে নাচতে অনুরোধ করে। ঋষির বোনেরা একটা আলো লাগানো ফুলের তোড়ার আয়োজন করে। যেটা ঋষি জ্যোতিকে দেবে।

সুইচ টিপতেই আলো জ্বলে যায় সেটায়। লুকিয়ে লুকিয়ে এই সবটা দেখে কাকিমণির ভাইজি। তাঁকে যেতেহু ঋষি প্রত্যাখান করেছিল, তাই সে ছদ্মবেশে প্রতিশোধ নিতে এসেছে। ফুলের তোড়ার একটা সমস্যা তৈরি করে দেয়, যাতে সেটা জ্যোতির হাতে গেলেই ইলেকট্রিক শক দেয়! ঘটনাচক্রে সেই তোড়া এবার জ্যোতির দিকেই আসছে, তাহলে কি বাবার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে মৃ’ত্যুর দোরগোড়ায় উজি?

Piya Chanda