জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ছত্রিশ গুণ মিলে গেলেও মেলেনি মন! ঋষি-উজির সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের শুরুতেই বড় বিপত্তি! সিসিটিভিতে ধরা পড়ল নিশা! ‘জোয়ার ভাঁটা’-য় ফাঁস হয়ে গেল উজি-নিশার সত্যিটা!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Jowar Bhanta) আজকের পর্ব যেন শুরু থেকেই উত্তেজনার আবহে মোড়া। ঋষির মা বিয়ের কথা পাকাপাকি করে চলে যাওয়ার পর থেকেই উজি গভীর দোটানায় ভুগতে শুরু করে। ঋষির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসার চিন্তা যেন তাকে একেবারে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। কারণ, ঋষি তো তাদের বাবার খু’নি! নিজের মনের ঘৃণা আর দোটানার ভেতর সে বুঝতে পারে— ঋষির মায়ের দেওয়া বালা পরে থাকা মানেই মিথ্যে সম্পর্ককে সত্যি দেখানো।

তাই শেষমেশ খুলে ফেলে দেয় সেই বালা। অন্যদিকে, ঋষির দিদি এবং জামাইবাবুর মধ্যে বাড়ছে সন্দেহ। নিশা এবং উজির বাবার বিদেশে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তদন্ত। এয়ারপোর্টে চেনা লোকের সাহায্যে তাঁরা খোঁজ নেয়, আসলে সত্যিটা কী জানতে। তাদের অজান্তে নিশা আগেই টাকা দিয়ে সার্ভার হ্যাক করিয়ে বাবার নাম রেজিস্টারে ঢুকিয়ে রেখেছিল। ফলে, তাদের মিথ্যে গল্প আপাতত ঠিকঠাকই সত্যি বলে প্রমাণিত হয়।

কিন্তু সন্দেহের মেঘ ক্রমেই ঘন হচ্ছে ঋষির বাড়িতে। এরই মধ্যে নতুন মোড় আসে গুরুদেবের আগমনে। ঋষি এবং উজির কুস্টি মিলিয়ে দেখতে উজিদের ডাকা হয় ঋষির বাড়িতে। প্রথমেই গুরুদেব বলেন, উজির কুস্টিতে এমন অনেক দোষ রয়েছে যা এই বিয়েকে অসম্ভব পর্যায় নিয়ে গেছে। সবাই যখন হতাশ, তখনই মজা করে গুরুদেব ঘোষণা করেন— ওরা নাকি একে একেবারে রাজ্যটক, সাত জন্মের বন্ধন ওদের! ঋষি-উজির ৩৬ গুণই মিলে গেছে।

হাসির রোল পড়ে যায় চারপাশে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে উত্তেজনা থেকেই যায়। কারণ, ভানুর সাহায্য নিয়ে আগেই গোপনে নিশা তৈরি করেছিল উজির নকল কুস্টি, যাতে এই বিয়েতে কোনও বাধা না আসে। ঋষি এবার উজির সঙ্গে একান্তে দেখা করতে চায়। তার দিদির জোরাজুরিতেই উজিকে নিয়ে যাওয়া হয় বাগানে। সেখানে কথা বলতে গিয়ে প্রথমে উজি ভীষণই অস্বস্তিতে পড়ে। কিন্তু ঋষির এক কথায় চমকে ওঠে সে।

ঋষি বলে, “আমি ঠিক তোমার মতো একজন মেয়েকেই কল্পনায় ভেবেছিলাম সবসময়।” উজি কিছুক্ষণ চুপ থাকে। তারপর জানতে পারে যে আসানসোলে একদিন দেখা এক অচেনা মেয়েকেই পছন্দ হয়েছিল ঋষির। মুখটা সে স্পষ্ট দেখতে না পেলেও, মনে রেখেছে আজও। এদিকে, ঋষির দিদি এবং জামাইবাবু নিজেরা আলোচনা করতে করতে নিশা ও উজির সব খুঁটিনাটি যাচাই করছে। ব্যবসা, পড়াশোনা, অতীত সব কিছু খুঁটিয়ে দেখছেন দিল্লিতে লোক লাগিয়ে।

সেই লোক বলেছে, সবই সত্যি। কিন্তু ঋষির দিদি মানতে নারাজ। তাদের কথাবার্তা শুনে ফেলে ঋষি আর উজি। আর ঠিক তখনই উজি শুনতে পায়, কোনও হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে নিশাকে। সেই এক মুহূর্তেই সবকিছু যেন উলটপালট হয়ে যায়। তার মুখের রঙ উধাও, বুকের ভেতর ভয় চেপে বসে। বুঝে ফেলে, এবার লুকোনো রহস্য ফাঁস হয়ে যাওয়াটা কেবল সময়ের অপেক্ষা। উজি কি আবার দিদির ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারবে?

Piya Chanda