জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

ছিলেন গোঁড়া ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে! বাবার অমতে অব্রাহ্মণ বিয়ে করায় বাড়ি থেকে বের করে দেয় পরিবার, অভিনয়েও ছিল তুমুল আপত্তি! ‘গৃহপ্রবেশ’-এর ঠাকুমা সঙ্ঘমিত্রার জীবনের লুকানো অধ্যায় জানলে চমকে উঠবেন

টেলিভিশনের পর্দায় প্রতিদিন দেখা যায় তাঁকে। এখন ‘গৃহপ্রবেশ’ ধারাবাহিকে ঠাকুমার চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী কুমকুম ভট্টাচার্য, যাঁকে দর্শক সঙ্ঘমিত্রা নামেও চেনেন। কিন্তু পর্দার এই হাসিখুশি মুখের পেছনে লুকিয়ে আছে এক কঠিন বাস্তবের গল্প। সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে নিজের জীবনের সেই অজানা অধ্যায় প্রকাশ করেছেন তিনি, যা দেখে অবাক অনেকে।

সঙ্ঘমিত্রা ছোটবেলা থেকেই এক গোঁড়া ব্রাহ্মণ পরিবারে বড় হয়েছেন। তবে তাঁর নিজের মনে ছিল এক জেদ—তিনি কোনও দিনই ব্রাহ্মণ পুরুষকে বিয়ে করবেন না। সেই জেদের ফলেই তিনি এক অব্রাহ্মণ যুবককে ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু বাবার অমতে এই বিয়ে হওয়ায়, সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় পিতৃপরিবারের সঙ্গে। অভিনেত্রীর কথায়, “বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না বহু বছর ধরে। তবুও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলাম।”

বিয়ের পর তাঁর জীবনে নেমে আসে একের পর এক বিপদ। সঙ্ঘমিত্রা নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “যখনই বিপদে পড়েছি, তখন নিজের সোনার গয়না বিক্রি করেছি। কিন্তু কখনও কারও কাছে হাত পাতিনি।” এমনকি তপন সিংহের ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হওয়ার কারণেও মাসি-পিসিরা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তবুও তিনি হার মানেননি, নিজের যোগ্যতায় শিল্পী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন টলিপাড়ায়।

বর্তমানে সঙ্ঘমিত্রা একাই থাকেন নিজের মতো। তাঁর একমাত্র মেয়ে কাছেই থাকেন, তাই নিঃসঙ্গতা পুরোপুরি গ্রাস করতে পারে না তাঁকে। অভিনয়ের পাশাপাশি যোগভ্যাস ও রান্নাবান্না নিয়েই এখন তাঁর দিন কাটে। কাজের ব্যস্ততা আগের মতো না থাকলেও, নিজের শান্ত জীবনে তিনি বেশ তৃপ্ত।

একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, “এখন কাজের সংখ্যা কমে গেছে, তাই বাড়িতে সময় কাটাই পুরনো স্মৃতি নিয়ে। জীবনের কষ্টগুলোই আজ আমাকে শক্ত করে তুলেছে।” জীবনের ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে আজও সঙ্ঘমিত্রা দর্শকদের মন জয় করছেন নিজের অভিনয় আর জীবনবোধে।

Piya Chanda