জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুল গ্রামের প্রধানকে বাঁচিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনে। তারপর তাকে নিজের মায়ের সম্পর্কে জানতে চায় পারুল। তিনি প্রথমেই ক্ষমা চান, কারণ এতদিন গোপন রেখে শেষে প্রাণের ভয়ে গুন্ডাদের সব বলে দিয়েছেন আম্মার ব্যাপারে।
পারুলদেরও তিনি সব সত্যিটা জানান। সেই মতো পারুলরা ঠিক করে যে পরেরদিন রোগী সেজে হাটে যাবে মায়ের খোঁজ করতে। ওদিকে শিরীনের মাও লোকদের বলে দেয় যে হাটে পারুলের মাকে দেখতে পেলেই যেন গু’লি করে দেয় তারা। শিরীনের বাবা পারুলকে জানায়, তিনি যেতে পারবেন না পারুলদের সঙ্গে।

কলকাতার কারখানায় আ’গুন লেগেছে, তাই শিরীনের বাবাকে ফিরে যেতে হবে। কিন্তু তিনি নিশ্চিত যে এতদূরে এসে পারুলকে খালি হাতে ফিরতে হবে না, সে মকে ঠিক খুঁজে পাবে। পরদিন পারুল, রায়ান আর বসুদেব ছদ্মবেশে বাকি রোগীদের সাথে মিশে আম্মার অপেক্ষা করতে থাকে। ওদিকে রোগীদের মধ্যে শিরীনের মায়ের লোকেরাও আছে ছদ্মবেশে।
কিছুক্ষণ বাদে এক ব্যক্তি এসে জানায় আজকে আম্মার আসা সম্ভব, তাই যেন সবাই তার কাছেই নিজেদের অসুবিধা বলে। তিনি গিয়ে আম্মাকে দিলে সবাই ওষুধ পেয়ে যাবে। শিরীনের মায়ের সব পরিকল্পনা মাটি হয়। কিন্তু পারুলের মতো তারাও ওই ব্যক্তিকে পিছু নিয়ে শুরু করে। কিছুদূর যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি একটি আদিবাসীদের হাটের মধ্যে উপস্থিত হয়।
আরও পড়ুনঃ ছিলেন গোঁড়া ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে! বাবার অমতে অব্রাহ্মণ বিয়ে করায় বাড়ি থেকে বের করে দেয় পরিবার, অভিনয়েও ছিল তুমুল আপত্তি! ‘গৃহপ্রবেশ’-এর ঠাকুমা সঙ্ঘমিত্রার জীবনের লুকানো অধ্যায় জানলে চমকে উঠবেন
সেখান থেকে জঙ্গলে নিজের বাড়ি চলে যায় সে। এক মুহূর্তের জন্য পারুল ভাবে ওই বাড়িতেই তার মা আছে, ছিলেন গোঁড়া ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে! বাবার অমতে অব্রাহ্মণ বিয়ে করায় বাড়ি থেকে বের করে দেয় পরিবার, অভিনয়েও ছিল তুমুল আপত্তি! ‘গৃহপ্রবেশ’-এর ঠাকুমা সঙ্ঘমিত্রার জীবনের লুকানো অধ্যায় জানলে চমকে উঠবেনকিন্তু ভিতরে দেখতে এসে কাউকে খুঁজে পায় না। পারুলের হঠাৎ মনে পড়ে, ওই ব্যক্তি বাড়ি আসার পথে হাটে একটি কালারিপায়াত্তু দলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। পারুল নিশ্চিত হয় ওখানেই তার মা আছে। ওদিকে দেখা যায় ছদ্মবেশে পারুলের মা সবার জন্য ওষুধ তৈরি করছে, এমন সময় ব’ন্দুক নিয়ে হাজির গুন্ডারা।
