জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Jowar Bhanta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ঋষি উজিকে নিজের বাড়ি ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে, এমন সময় তারা দু’জনেই থমকে যায় ঋষির দিদির ঘর থেকে আসার কথা শুনে। ঘরের ভেতরের ঋষির দিদি আর জামাইবাবু নিশা-উজিদের ছদ্মবেশ অর্থাৎ বিভা এবং জ্যোতির সব তথ্য ঠিক কিনা তাই নিয়ে আলোচনা করছে।
সেখানে উজি শুনতে পায়, ঋষির দিদি বলছেন কোনও এক সিসিটিভি ফুটেছে নিশাকে দেখেছে তারা। ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় তার। হঠাৎ নিশা সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করে। উজি সব খুলে বলে, ওদিকে ঋষি তার হবু স্ত্রীর সম্বন্ধে এমন অপমানজনক কথা সহ্য করতে না পেরে সোজা দিদি এবং জামাইবাবুর কথার মধ্যে ঢুকে যায়। নিশা আশ্বস্ত হয় যে ঋষি এবার সবটা সামলে নেবে।
ঋষি তার দিদিদের সতর্ক করে দেয়, ভবিষ্যতে যেন উজি ওরফে জ্যোতির বিষয় কোনও সন্দেহ তারা প্রকাশ না করে। পরদিন দেখা যায়, নিশার ঠিক করা রিসর্টে এসে পৌঁছায় ঋষির বাড়ির লোকেরা। শুধুমাত্র ঋষি এবং তার মা অন্য গাড়িতে আসায় এখনোও এসে পৌঁছায়নি। বাকি সবাই তো বিয়ের আয়োজন দেখে অবাক। কেউ ভাবতেই পারছে না, এত খরচ করে একটা বিয়ে হচ্ছে!
ঋষি কাকা সন্দেহ প্রকাশ করলেও, ঋশির বাবা তাকে থামিয়ে দেয়। ওদিকে নিশা খুব খুশি যে, সপরিবারে ঋষিরা এখন তার জালে জড়িয়ে পড়েছে। ভানুকে নিশা জানতে চায় সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হচ্ছে কিনা। নিশা জানায়, বিয়ের দিন খাওয়ারের সঙ্গে সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে লুট করে নেবে সে সবকিছু। ভানু জানায় একটা সমস্যা আছে।
ভানু বলে ঋষির কাকা পুলিশের ব্যবস্থা করতে বলেছে। নিশা চিন্তায় পড়ে যায় কিন্তু উজি বুদ্ধি দেয়, নকল পুলিশ ভাড়া করে আনলেই হবে। যদিও উজির মনে একটু একটু অনুভূতি তৈরি হচ্ছে ঋষির জন্য, কিন্তু পরক্ষণেই বাবার মুখটা ভেসে উঠছে সামনে। এই দোটানায় পড়ে কি করবে সে বুঝতেই পারছে না। এরপর ঋষিদের আপ্যায়ন করতে গেলে, জানতে পারে ঋষি নিখোঁজ।
আরও পড়ুনঃ হাটের ভিড়ে মাকে খুঁজতে ছদ্মবেশে পারুল, শিরীনের মায়ের পরিকল্পনা ধুলিসাৎ! মায়ের খোঁজে জীবনের ঝুঁকি নিল পারুল, ষড়’যন্ত্রের জাল ছিঁড়ে এগিয়ে চলল সে! —’পরিণীতা’য় চূড়ান্ত উত্তেজনা!
উদ্বিগ্ন হয়ে ঋষির দিদি এবং জামাইবাবু এসে জানায়, মাঝ রাস্তায় মাকে অপেক্ষা করতে বলে সে কোথায় চলে গেছে, এখনও আসেনি। সবাই তাড়াতাড়ি করে পুলিশে যোগাযোগ করতে শুরু করে। নিশারও চিন্তা হয় যে, শেষে সব পরিকল্পনাই না মাটি করে দেয় ঋষি। হঠাৎ দেখা যায়, এক ছদ্মবেশী ব্যক্তি সেখানে এসে জ্যোতির গলায় ছু’রি ধরে মেরে ফেলার হুমকি দেয়!
