জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘জোয়ার ভাঁটা’র (Jowar Bhanta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, ঋষির কাকাকে ঋষির দিদি এবং জামাইবাবু বলে যে ঋষি যখন ছদ্মবেশে জ্যোতির গলায় ছুরি ধরেছিল, তখন জ্যোতির দিদি এবং তার বাবার চোখ মুখে অস্বস্তির ছাপ স্পষ্ট ছিল। এইসব কথা দরজার বাইরে থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে ভানু শুনে নেয়।
ঋষির দিদি বলে, নিশ্চয়ই জ্যোতিদের অতীতে এমন কোন ঘটনা আছে যেটা বেরিয়ে যাবার ভয় সব সময় তারা চুপচাপ থাকে। তাদের কথা শুনে খুব একটা আশ্বস্ত না হলেও, ঋষির কাকা জানায় ওদের নজরে রাখতে। রাতের বেলায় জ্যোতির বাবাকে নিয়ে আলাদা করে কথা বলা হবে। এদিকে ঋষিরা সবাই সঙ্গীতের তোড়জোড় করছে।
একে একে ঋষির বাবা-মা, কাকু-কাকিমা সবাই নাচের অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। এরপর উজি আর নিশা, অর্থাৎ জ্যোতি আর বিভা সেখানে উপস্থিত হয়। নিশা বলে, সে বোনের সঙ্গে আলাদা করে নাচ করতে চায়। নাচতে নাচতে এরপর নিশা ভালো করে জ্যোতিকে বুঝিয়ে দেয়, যেন ঋষির প্রেমে না পরে সে।
তারপর সবাই জোর করে জ্যোতি আর ঋষিকে নাচতে বাধ্য করে একসঙ্গে। সুযোগ বুঝে নিশা ভানুকে নিয়ে একদিকে ঋষিদের ঘরে ঢুকে গয়না, টাকা চুরি করতে থাকে, অন্যদিকে ঋষির কাকা জ্যোতির বাবাকে তার সঙ্গে নিয়ে যায়। ঘোর নিয়ে গিয়ে মা’দক খেতে জোর করে জ্যোতির বাবাকে। প্রথমে না করলেও পরে তিনি, অনেকটা খেয়ে নেন।
আরও পড়ুনঃ “যেমন কোনও ডাক্তার পরিবারে সন্তান ডাক্তার হতে পারে, তেমনি সিনেমা পরিবারে সন্তান অভিনেতা হলে দোষ কোথায়?”— টলিউডের নব্বইয়ের জনপ্রিয় নায়িকা চুমকি চৌধুরীর নেপোটিজম মন্তব্যে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া!
তারপর যদি বাবাকে জানতে চাবো হয় তিনি কিভাবে দুই মেয়েকে দিল্লিতে একা মানুষ করেছেন, এতদিন কি করেছেন, কোথায় ছিলেন। তিনি বলেন সবই অভিনয়! এদিকে ভানু খবর দেয় নিশাকে যে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে এখনো ঋষির বাড়ির লোকেরা সন্দেহ করছে। নিশার হঠাৎ মনে পড়ে তাদের সাজানো বাবাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এবার কি তাহলে ধরা পড়ে যাবে দুই বোন?

