জি বাংলার পর্দায় এই মুহূর্তে অন্যতম ধামাকাদার সিরিয়াল হচ্ছে খেলনা বাড়ি। রীতিমতো ধামাকাদার এই ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকের নায়িকা শুরু থেকেই ভীষণ রকমের প্রতিবাদী। বিরাট বড় লিপ নিয়ে বয়স বাড়লেও মিতুলের প্রতিবাদী সত্ত্বা কিন্তু কমেনি।
টিআরপি তালিকায় একটা সময় ভীষণ ভালো নম্বর পেত এই ধারাবাহিক। পরকীয়া, কূটকচালি, বদমাইশি, ষড়যন্ত্র সব রকম উপাদানই মজুদ এই ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকের ভিলেন নায়কের সৎ ভাই রণ। আর গুগলির মানি অনামিকা। যদিও খেলনা বাড়ির মিতুলকে লেডি রঞ্জিত মল্লিক বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। যে কোনও বিপদ থেকেই নিজের তীব্র সাহসিকতায় মুক্তি পায় সে।
আসলে ইন্দ্রর সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার লোভে রণ ইন্দ্র এবং মিতুলকে মেরে ফেলার ছক কষেছে। যদিও নিজের বুদ্ধির জোরে বারবার বেঁচে ফিরেছে মিতুল। শুধু নিজেকে নয় বাঁচিয়েছে নিজের স্বামীকে। মাটির মধ্যে জ্যান্ত পুঁতে দিয়ে, কখনও শরীরে বিষ মাখানো ইনজেকশন দিয়ে, আবার কখনও আগুনে পুড়িয়ে কিংবা গুলি করে মিতুলকে মেরে ফেলতে চেয়েছে রণ।
সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যায় মিতুলকে বেঁধে তাঁর সামনে ইটের গাঁথুনি তুলে দিয়ে মিতুলকে জ্যান্ত মারার পরিকল্পনা করেছে সে। যদিও সেখান থেকে মিতুলকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে ইন্দ্র। আর এবার অভিযান গুগলি বাঁচাও। বিয়ে হচ্ছে গুগলির। কিন্তু পুরোটাই রণর পরিকল্পনা। রণ এসে গুগলির হবু স্বামীকে বলে বিয়ের আগে যে করেই হোক গুগলির থেকে সমস্ত সম্পত্তি লিখে নিতে হবে।
কিন্তু নিজের মেয়েকে বাঁচাতে মরিয়া মিতুল। হবু জামাইয়ের হাত থেকে মেয়েকে বাঁচাতে গুগলিকে সরিয়ে কনে রূপে বিয়ের মন্ডপে প্রবেশ করে মিতুল। এই প্রমো অনেকেই দেখেছেন। আর এবার গুগলিকে বাঁচাতে মিতুল-ইন্দ্রর সহযোগিতা করছে পুলিশরা।
উল্লেখ্য, নাচনেওয়ালি সেজে এই বিয়েতে প্রবেশ করে মিতুল-ইন্দ্ররা। তাঁদের সঙ্গে ছদ্মবেশে রয়েছে পুলিশ। একেবারে নেচে- গিয়ে বিয়ের আসর জমিয়ে দেয় তারা। আর নায়ক নায়িকার সঙ্গে এইরকম নেচে কুদে পুলিশের কেস সলভ করা দেখে অবাক নেটিজেনরা। আসলে এটাই যে ধারাবাহিক। এখানে সবকিছু হতে পারে। বাস্তবের সঙ্গে তাই গুলিয়ে না ফেলাই ভালো। উল্লেখ্য, টানটান উত্তেজনাপূর্ণ পর্ব আসছে খেলনা বাড়িতে। দেখতে ভুলবেন না।