জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ঠাকুমা পারুলকে আশ্বস্ত করেন একদিন ঠিকই রায়ান তাকে মেনে নেবে, একটু অপেক্ষা করতে। কিন্তু পারুল বলে, সে অনেকদিন অপেক্ষা করেছে তাই বলে সারাজীবন অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। এরপর পারুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় যে তাঁদের বিয়েটা ভাঙতে হবে। অন্যদিকে রায়ান এখনও দোটানায় তার সিদ্ধান্ত নিয়ে।
রায়ানকে গিয়ে পারুল জানায়, এই মিথ্যে বিয়েটার জন্য তাদের মধ্যে যে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা আছে সেটাও নষ্ট হচ্ছে, এমনকি পারুলের এতদিন একটু হলেও প্রত্যাশা ছিল বিয়েটা নিয়ে কিন্তু রায়ান সোজাসুজি জানিয়ে দেওয়াতে তাঁর সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয়েছে। পারুল বলে বিয়েটা এবার ভাঙতে হবে। দাদুর প্রতিক্রিয়া নিয়ে রায়ান ভয় পেলে, পারুল বলে সে বুঝে নেবে শুধু পাশে থাকলেই হবে।

ন্যাড়া গোয়ালে ফোন করে পারুল তার মা-বাবাকে তাড়াতাড়ি বসু বাড়ি আসতে বলে। সন্ধ্যে হতেই সবাই সেখানে উপস্থিত হয়, দাদু বুঝতে পারেনা কি কারনে পারুল তাদের ডেকে পাঠিয়েছে। অবশেষে পারুল-রায়ান এসে জানায়, প্রথম দিন থেকেই তাদের এই সম্পর্কের কোন ভিত্তি নেই আর রায়ানও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, যে তাদের মধ্যে কোনদিনও কোনও সম্পর্ক গড়ে উঠবে না।
পারুল বলে তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসার, শুধু বড়দের জানানোর জন্যই ডেকেছে। এই কথা শুনে দাদু রীতিমতো রেগে আগুন হয়ে যান। ছেলেমানুষি ভেবে তিনি পারুলের মা-বাবাকে আশ্বস্ত করেন এমন কিছু হবে না, তবে পারুল নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। সে দাদুকে জানিয়ে দেয় তারা প্রাপ্ত বয়স্ক আর বিয়েটা যেহেতু তাদেরই হয়েছে সেই জন্য ভাঙার দায়ও তাদের।
একদিকে যখন সবাই আশ্চর্য শুধুমাত্র রায়ানের মা খুশি হতে থাকেন। দাদু রেগে গিয়ে রায়ান আর পারুলকে মারতে যান। এতটা উত্তেজিত হয়ে পড়েছে দাদু, এটা দেখে ঠাকুমা শান্ত হতে বলতে গেলেই হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যান। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, দাদু পারুল-রায়ানকে এই পরিস্থিতির জন্য দোষারোপ করেন।
আরও পড়ুনঃ রুদ্র-ছোট রানীর ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র! ফুলকির আওয়াজে ভর করে সম্পত্তির কাগজে সই করালো ছোট রানী! বড় রানীর মুখের কথায় ভেঙে পড়ল ফুলকি! মা-মেয়ের দূরত্ব কমবে কি করে?
আপাতত তাদের বিচ্ছেদের কথা চাপা পড়ে যায়। পরদিন ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হলে, শিরীন বলে যাঁরা ফেল করেছে তাদের নাম তালিকায় নেই। পারুল দেখে, তাঁর আর রায়ানের নামও নেই সেখানে। এই সুযোগে শিরীন অনেক কথা শোনেন থাকে পারুলকে। দাদুর কি প্রতিক্রিয়া হবে জেনে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পারুল-রায়ান!