জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ফুলকি রোহিতকে তাঁর আর বড় রানীর সম্ভাব্য সম্পর্কের কথা জানায়। ফুলকি চায় একটা ডিএনএ টেস্ট করতে, যাতে বোঝা যায় বড় রানী তাঁর মা কিনা। রোহিত কিছুতেই রাজি হয়না, উল্টে ফুলকিকে বাড়াবাড়ি করছে বলে সাবধান করে।
রোহিত ফুলকিকে কারণ জিজ্ঞেস করে, কি দেখে তাঁর মনে হল যে বড় রানীই তাঁর মা? ফুলকি বলে রক্তের মিল আছে তাঁদের এমনকি মুখের আদলও একই রকম, আর মন্দিরে ভৈরবীও তাঁকে বলেছে এবং মা কালীও ইঙ্গিত দিয়েছে। ফুলকি বলে এতোকিছুকে তো আর ফেলে দেওয়া যায় না। রোহিত বলে, ঘটনাগুলো নিতান্তই কাকতালীয়।

তাই বলে ফুলকি রাজকুমারী এটা সে মানতে চায় না। ফুলকির অনেক অনুরোধের পর সে ডিএনএ টেস্টের জন্যে রাজি হয়। হাসপাতালে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে, সেখান থেকে তাঁদের আগে আবেদনপত্র জমা করতে বলা হয়। তিন দিন এর আগে তাঁর কোনও ভাবেই রক্তের নমুনা পাবে না। এইসব ঘটনা রাজবাড়ির এক গুপ্তচর শুনে ফেলে,
ছোট রানীকে ফোন করে সে জানিয়ে দেন সবকিছু। তিনি বলে দেন, ডিএনএ টেস্ট আর রক্তের নমুনার কথা। উদ্বিগ্ন ছোট রানী বলেন এবার এমন কিছু করতে হবে, যাতে বড় রানীর চোখে ফুলকি একদম ছোট হয়ে যায়। সেই মতো রুদ্রর সঙ্গে আবার ফন্দি আঁটতে থাকেন তিনি। সুস্থ হয়ে বড় রানী বাড়িতে ফিরলে, ফুলকিকে ডেকে পাঠান।
এরই সুযোগ নিয়ে রুদ্র আর ছোট রানী কাজে লেগে পড়ে। রুদ্র আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে একটা প্রোগ্রাম তৈরী করে দেয়, যেখানে ছোট রানী যা কথা বলবে ফুলকির আওয়াজই শোনাবে। বড় রানীর ঘুমের সুযোগ নিয়ে, তাঁর চোখ বেঁধে ফুলকির আওয়াজ নকল করে সম্পত্তির হস্তান্তরের কাগজে সই করিয়ে নেয় ছোট রানী আর রুদ্র।
আরও পড়ুনঃ শেষ হয়েছে দুগ্গামনি ও বাঘমামার গল্প! এবারনতুন রূপে পর্দায় ফিরতে চলেছেন মানালি! বিশেষ চমক নিয়ে কবে কোথায় ফিরছেন অভিনেত্রী?
বড় রানী দেখা করতে চেয়েছেন, ধানু এই খবর ফুলকিকে দিতেই সে ছুটে চলে আসে রাজবাড়িতে। কিন্তু বড় রানীর মন ততক্ষণে বিষিয়ে গিয়েছে ছোট রানীর ষড়যন্ত্রে। বড় রানী এখন ভাবছেন ফুলকি অত্যন্ত লোভী ও স্বার্থপর একজন। ফুলকি তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি মুখ ফিরিয়ে নেন। সবটা বুঝে ফুলকি ছোট রানীকে চ্যালেঞ্জ করে, এবার যা হবে মুখোমুখি।