জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় গোপালকে তাঁর মা অনেক কথা শোনায় যে রুক্মিণীর কথায় সে অবাধ্য হচ্ছে, মায়ের থাকে কোনও অনুমতি নেওয়ার সে আর প্রয়োজন মনে করেনা, বউ যা বুদ্ধি দেয় সে তাতেই রাজি হয়ে যায়। গোপালের মা তাঁদের জানিয়ে দেয় যে এতো কষ্টের টাকা দিয়ে কোনও ভাবেই মালতীদের সংসার চালাতে দেবে না সে। রুক্মিণী দ্বিধায় পড়ে যায়, সে বলে কথা দিয়ে দিয়েছে মালতীকে আর সেটার অন্যথা করতে পারবে না।
কাজে বেরোনোর সিদ্ধান্ত নেয় রুক্মিণী। আগের মতন ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করতে চায় সে কিন্তু নেড়া গোয়ালের মহিলাদের নিয়ে, যাতে তাদের আর্থিক উন্নতি হয়। অন্যদিকে রায়ান পারুল বাড়ি ফেরার জন্য তাড়াহুড়ো করতে থাকে বৃষ্টির ভয়, কিন্তু মাঝ রাস্তায় তাদের গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। মাঝ রাস্তায় দুজনে ঝগড়া শুরু করে দেয় আর এরই মাঝে মুষলধারায় বৃষ্টি নামে। কোনও রকমে একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে থাকে দুজনে।

হঠাৎ রায়ান লক্ষ করে একটা হোটেল, দুজনে সেখানে যেতেই তাদের রুম দেওয়া যাবে বলে আপত্তি করতে থাকেন ম্যানেজার। দুজনেই অনেক করে বোঝাতে থাকে কিন্তু কিছুতেই বুঝতে চান না তিনি। বাধ্য হয়ে পারুল নিজেদের বিয়ের ছবি দেখতে, ম্যানেজার হানিমুন কাপল ভেবে ভুল করেন। আর কথা না বাড়িয়ে দুজনে রুমে চলে যায়। পারুলের খুব হাঁচি হতে থাকে বৃষ্টিতে ভিজে, সে চিন্তা করতে থাকে অসুস্থ হলে পরীক্ষা দেবে কি করে? রায়ান বলে চিন্তা না করতে, সে ওষুধের ব্যবস্থা করেছে।
আরও পড়ুনঃ টিআরপি দুনিয়ায় রাজত্ব ‘পরশুরাম’-এর! পিছনে ফেলল ‘জগদ্ধাত্রী’কেও, দেখে নিন সেরা ৫ টি ধারাবাহিকের তালিকা!
রুমে যেতেই দাদু ফোন করেন আর বলেন তাঁদের একটু সাবধান থাকতে, কারণ সেই ব্যক্তি তাঁদের উপরেও হা’মলা করতে পারে, দাদু ফোন রাখতেই রায়ান পারুলকে ম’দ খাওয়ার জন্য জোর করতে থাকে। পারুল খেতে না চাইলে রায়ান বলে এটাই এখন ওষুধের কাজ করবে, এতো রাতে অন্য ওষুধ পাওয়া যাবে না। পারুল বাধ্য হয়ে খেয়ে নেয় কিন্তু রায়ান খেতে গেলে সে বাধা দেয়। রায়ান কিছুতেই কথা শোনেনা, পারুল দাদুর ভয় দেখায় তবুও রায়ান নাছোড়বান্দা।
এরপর রায়ান পারুল আরও কিছুতেই পানিও খাইয়ে দেয় আর নিজেও খেয়ে নেয়। নেশার ঘোরে দুজনে নাচ গান করে ক্লান্ত হয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখে শিরীন সামনে বসে আছে। রায়ানকে সে অনেক কথা শোনাতে থাকে বিশ্বাসঘাতক বলতে থাকে। পারুল আর চুপ করে না থাকতে পেরে বলেই ফেলে যে তারা স্বামী-স্ত্রী সেই জন্য একসাথে শুতেই পারে, এই নিয়ে শিরীনের আপত্তি থাকতে পারে না।