জি বাংলায় ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পরীক্ষায় সবাই লিখতে ব্যস্ত কিন্তু রায়ান কিছুই লিখতে পারছে না। অনেক করে শিরীনকে খাতে দেখাতে বলে সে কিন্তু শিরীন কিছুতেই দেখায় না, পারুলকে রায়ান বলে তাঁর জন্য শিরীন রেগে গেছে তাই পারুলকেই খাতা দেখায় হবে, বলে খাতা টানতে থাকে রায়ান। পারুল অভিযোগ জানায় স্যারকে যে রায়ান বিরক্ত করছে।
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে রায়ানকে পরীক্ষা থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরীক্ষার শেষ হওয়ার পর রায়ান পারুলকে অনেক খারাপ কথা শোনাতে থাকে আর দোষারোপ করতে থাকে। পারুল বলে যে সে নিজে দায়িত্ব নিয়ে রায়ানকে পড়াবে, যাতে আর কারোর মুখাপেক্ষি হয়ে না থাকতে হয় তাঁকে। কথা মতন বাড়ি ফিরে পারুল রায়ানকে পড়াতে বসে কিন্তু রায়ান সিলেবাস পর্যন্তও জানে না।

নিজের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে রায়ান, পারুল ভরসা যোগায় যে ঠিক হয়ে যাবে সব। সারারাত ধরে পারুল রায়ানকে পড়াতে থাকে, হাসি-মজা করে দুজনে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে রায়ান আর পারুল পরীক্ষা দিতে যায়। অন্যদিকে নেড়া গোয়ালে রুক্মিণী গোপালকে জানায় যে সে শাড়ির ব্যবসা শুরু করবে, যেখানে ডিজাইন হবে তার আর হাতের কাজ হবে গ্রামের মেয়ে বউদের।
গ্রামের বন্ধ তাঁতকল আবার শুরু হবে। গোপাল বলে ডিভোর্সের দিন তো এগিয়ে আসছে, এতো কম সময় কি করে সবটা সম্ভব হবে। রুক্মিণী গোপালকে জানায় যে সে আরো দু’মাস থাকবে। গোপাল অনেক খুশি হয়ে যায় শুনে। এদিকে পরীক্ষার দিন একদিকে তূর্য পারুলের খোঁজ করতে থাকে, আর অন্যদিকে শিরীন রায়ানের।
ঠিক সেই সময়েই রায়ানকে জড়িয়ে ধরে বাইকে বসে পারুল সেখানে আসে। তেলে জল পড়ার মতন অবস্থা হয় শিরীন আর তূর্যের। শিরীন রায়ানকে বলে আজকে সে খাতা দেখাবে, কিন্তু রায়ান সাফ না করে জানিয়ে দেয় যে পারুল তাকে সারারাত ধরে পড়িয়েছে তাই তার কোনও সাহায্য লাগবে না। রাগে ফুঁসতে থাকে শিরীন অন্যদিকে তূর্যর রাগ আরও বেড়ে যায় রায়ানের উপর।
আরও পড়ুনঃ বাবা অধ্যাপক, মেয়ে ছোটপর্দার নায়িকা! দিনে শুটিং, রাতে পড়াশোনা—দু’দিকই দক্ষ হাতে সামলালেন পারিজাত! কত নম্বর পেয়ে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন ‘মিত্তির বাড়ি’র জোনাকি? জানলে চমকাবেন
পারুল-রায়ানকে আলাদা করতে শিরীন তূর্য হাতমেলায়। রায়ানের কাছে সেন্ট্রাল স্কুল অফ ড্রামা থেকে অফার আসে, উৎসাহী হয়ে রায়ান পারুলকে জানায় যে এখানে একবার সুযোগ পেলে সে বড় অভিনেতা হয়ে যাবে, কিন্তু পারুল বলে সে যদি ইউনিভার্সিটি ছেড়ে দেয় তবে দাদুকে পারুল সব জানিয়ে দেবে। দুজনের মধ্যে কি আবার দূরত্ব বাড়তে লাগলো? শিরীন-তূর্যের কি এটাই ফন্দি? জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।