প্রতিবছরের মতন এইবছরেও চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সিবিএসই (CBSE) বোর্ডের ফল প্রকাশ হতেই সামনে এলো একের পর এক সুখবর। ছোটপর্দার তিন জনপ্রিয় তথা তরুণী অভিনেত্রী এই বছর বসেছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায়। তাঁরা সকলেই খুব ভালো ফলাফল করেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ‘মিত্তির বাড়ি’ (Mittir Bari) ধারাবাহিকের নায়িকা, ‘পারিজাত চৌধুরী’ (Parijat Chaudhuri)। মিষ্টি মুখ, আত্মবিশ্বাসী মনোভাব আর পর্দায় ঝকঝকে উপস্থিতির পাশাপাশি পড়াশোনার ময়দানেও বাজিমাত করলেন তিনি।
পারিজাতের মতে একদিকে ধারাবাহিকের শুটিং, আর অন্যদিকে বোর্ডের পরীক্ষার প্রস্তুতি—এই দুইয়ের চাপ ছিল খুব। আর মিত্তির বাড়ির কাজ শুরু হয়েছিল পরীক্ষার ঠিক চার মাস আগে! সেই সময় পরিবারের পক্ষ থেকে শ্যুটিং বন্ধ রেখে পরীক্ষার পর কাজে ফেরার পরামর্শও এসেছিল। কিন্তু গল্প এবং চরিত্রের প্রতি ভালোবাসা তাঁকে টেনে এনেছিল সেটে। পারিজাত নিজেই পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, পড়াশোনার দিকেও সমান মনোযোগ দেবেন এবং ভালো রেজাল্ট করেই দেখাবেন।
অভিনেত্রী এদিন বলেন, “আমার বাবা একজন অধ্যাপক, ফলে লেখাপড়ার গুরুত্ব আমি ছোট থেকে জেনে এসেছি। তাই কখনোই পড়াশোনাকে অবহেলা করিনি। কিন্তু ধারাবাহিকের কাজ শুরুর প্রথম দিকটা খুব কঠিন ছিল।” তিনি জানান, নতুন ধারাবাহিক, নতুন চরিত্র, টিআরপির চাপ—সবকিছু মিলিয়ে একটা ব্যস্ত ও ক্লান্তিকর সময় কাটাতে হয়েছে তাঁকে। শুধু পড়াশোনাই কম সময় নয়, রাতের ঘুমও ছিল অত্যন্ত কম।
পারিজাত বলেন, “নভেম্বর থেকে এপ্রিল, প্রায় প্রতিদিনই রাত তিনটে বা চারটে পর্যন্ত জেগে পড়াশোনা করেছি। শুটিং সেরে বাড়ি এসে পড়েছি, ঘুমিয়েছি দেড়-দুই ঘণ্টা, আবার ভোরে রওনা দিয়েছি শুটিংয়ের জন্য। এই রুটিন সহজ ছিল না, কিন্তু আমি জানতাম আমার লক্ষ্য কী।” পারিজাত জানালেন, ৮২ শতাংশ নম্বর পেয়ে সফলভাবে পাশ করেছেন দ্বাদশ শ্রেণি। ভবিষ্যতে কি নিয়ে এগোনোর ইচ্ছা সেই প্রসঙ্গে এখনও কিছু ঠিক করেনি তিনি, তবে অভিনয়কে সঙ্গে করেই করবেন।
আরও পড়ুনঃ জবর খবর! সৃজিতের ছবিতে বড় চমক, সরলেন দর্শনা! ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-তে দিব্যজ্যোতির বিপরীতে আরাত্রিকা! চৈতন্যর লক্ষীপিয়া হচ্ছেন আমাদের ‘রাই’?
পারিজাতের অধ্যবসায়েরই ফলাফল মিলেছে দুই জায়গাতেই! বোর্ডের মার্কশিটে এবং ছোট পর্দার প্রথম কাজেই নজর কাড়ার পাশাপাশি, পড়াশোনাতেও দারুণ রেজাল্ট করেছেন পারিজাত। তাঁর এই সাফল্য শুধু ভবিষ্যতের তরুণী অভিনেত্রীদের জন্যই নয়, সমস্ত পড়ুয়াদের জন্য যারা পড়াশোনার চাপে ভালোলাগাকে ভুলতে বসেছে, এ যেন এক বার্তা—স্বপ্ন আর দায়িত্ব যদি সমানভাবে সামলানো যায়, তাহলে সাফল্য আসবেই।