‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa) ধারাবাহিকের ‘সূর্য’ চরিত্রে সকলের প্রিয় ‘দিব্যজ্যোতি দত্ত’ (Dibyojyoti Dutta) যে এখন এক নতুন অধ্যায় পা রাখতে চলেছে তা হয়তো সকলেরই জানা। ছোট পর্দার সফল সফর পেরিয়ে এবার বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করবে দিব্যজ্যোতি এক ঐতিহাসিক চরিত্রের মাধ্যমে। ‘সৃজিত মুখোপাধ্যা’য় (Srijit Mukherji) পরিচালিত আসন্ন ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-তে (Lawho Gouranger Naam Re) তিনি রূপ দিচ্ছেন চৈতন্য মহাপ্রভু-র চরিত্রে। এমন চরিত্রের জন্য শুধু সংলাপ নয়, পুরো শরীর ও মনকেও তৈরি করতে হচ্ছে। কিন্তু বিপরীতে কে থাকছেন চৈতন্য মহাপ্রভুর?
বহুদিন ধরে গড়ে তোলা মাসল ফিজিককে এখন ভেঙে, ত্যাগী ও শান্ত ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তুলতে হচ্ছে। দিব্যজ্যোতির এখন চলছে নিয়মিত কার্ডিও এবং নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে ক্যালোরি ঝরানো। এই শারীরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি, দিব্যজ্যোতি নিজেকে মানসিকভাবেও গড়ে তুলছেন। বই পড়া, ঐতিহাসিক তথ্য সংগ্রহ, চৈতন্য জীবনের নানা দিক বোঝার চেষ্টা—সবকিছু চলছে একসঙ্গে। চৈতন্য মহাপ্রভুর উদারতা, ভক্তি ও আত্মত্যাগের দিকটি যেন সুন্দর করে ফুটে ওঠে তাঁর অভিনয়ে, সেই চেষ্টাতেই নিজেকে প্রতিনিয়ত করছেন অভিনেতা।
এই ছবিতে লক্ষ্মীপিয়া চরিত্রে শুরুতে ভাবা হয়েছিল ‘দর্শনা বণিক’-কে (Darshana Banik)। কিন্তু হঠাৎ করে জানা যায়, তিনি আর ছবির অংশ থাকছেন না। এখন টলিউডে জোর গুঞ্জন উঠেছে, দিব্যজ্যোতির বিপরীতে দেখা যেতে পারে ছোটপর্দার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ ‘আরাত্রিকা মাইতি’-কে (Aratrika Maity)। যাঁকে আমরা ‘রাই’ এবং ‘মিতুল’-র মত চরিত্রে সাবলীল অভিনয় করতে দেখেছি। আরাত্রিকা যদি সত্যিই লক্ষ্মীপিয়া চরিত্রে এই ছবিতে যোগ দেন, তবে তা একেবারেই নতুন এক জুটি দর্শকদের সামনে হাজির করবে।
তাঁদের রসায়ন দেখার অপেক্ষায় টলিউডপ্রেমীরা। যদিও এই কাস্টিং এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হয়নি, কিন্তু দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। দিব্যজ্যোতি ও আরাত্রিকার দুজনেরই অভিনয়ে এক বিশেষ সততা রয়েছে, যা ঐতিহাসিক চরিত্রের আবেগে আরও গভীরতা তুলে ধরতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছেন অনেকে। সেই দিক থেকে দেখলে, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও বরাবর এমন মুখই বেছে নেন, যাঁরা অভিনয়ের প্রতি আন্তরিক এবং চরিত্রের জন্য আত্মনিবেদন করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুনঃ মহানায়ককে ‘জ্যেঠা’ বলে ডাকার অধিকার পেয়েছিলেন একমাত্র তিনিই! সুচিত্রা সেন পছন্দ করতেন না, একটু ছুঁয়ে ফেলেছিলেন শুনতে হয়েছিল ‘ডোন্ট টাচ্!’ অতীতের স্মৃতিচারণে মহানায়কের স্মেহকন্যা কল্যাণী মণ্ডল!
সব মিলিয়ে ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ শুধুই আরেকটি ঐতিহাসিক ছবি নয়, বরং এটি হতে চলেছে দিব্যজ্যোতি দত্তের জন্য কেরিয়ারের এক বড় মোড়। টেলিভিশন তারকা থেকে সিনেমার মূল নায়ক হয়ে ওঠার এই যাত্রা যেমন ব্যক্তিগত লড়াই, তেমনই বাংলা চলচ্চিত্রে এক নতুন মুখের আত্মপ্রকাশ। আরাত্রিকার সম্ভাব্য যোগদান দর্শকদের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে চলেছে। এখন শুধু অপেক্ষা অফিসিয়াল ঘোষণার ও প্রথম ঝলকের।