জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় আদালত চত্বরে সাংবাদিকরা ভিড় করে আছে রাজবাড়ির ঘটনা জানতে। এদিকে ধানু এখনও দোলাচলে। ফুলকি তাঁকে বলে নিজের মনের কথা শুনতে, যেটা ঠিক মনে হয় সেটাই যেন করে। ইতিমধ্যেই ছোট রানী আদিত্য এবং রাজা মশাই উপস্থিত হয় সেখানে। সাংবাদিকরা ঘিরে ধরে ছোট কুমারের বিষয় জানতে।
ছোট রানী জানিয়ে দেয় ছোট কুমার নির্দোষ, সেটা প্রমাণ করবে তাদের বাড়ির বড় বউ অর্থাৎ ধানু। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে ধানু সবার সামনে গিয়ে বিরোধিতা করে বলে সে এই কেস লড়তে পারবে না। এতে প্রচন্ডভাবে রেগে যান রানী। ধানুকে জানতে চান উনি এই সিদ্ধান্ত কি তাঁর ব্যক্তিগত নাকি দাদা বৌদির প্রভাবে সে বলছে। ফুলকি গিয়ে বলে ছোট কুমার যে দোষ করেছে সেটা তারা জানে।

কিন্তু ধানুকে কখনোই বাধা দেয়নি কখনো পক্ষ নিতে, ধানুকে শুধু বলা হয়েছে যেটা তার মন চায় সেটাই করতে তাই এই সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত। আদালতে শুনানির পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ছোট কুমার দোষী, তাকে আরও কিছুদিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়। এরপর আদিত্যকে দেখে ধানু ভেতরে কি হলো জানতে চাইলে আদিত্য বলে, “তুমি যা চেয়েছিলে তাই হয়েছে, আমার ভাই শাস্তি পেয়েছে।”
রাজবাড়ির পরিস্থিতি উত্তপ্ত আর এর রেশ যে ধানুর উপরেও পড়বে জেনে ফুলকি রোহিতকে বলে একবার তাদের রাজবাড়িতে যেতেই হবে। রাজবাড়িতে ফিরেই ছোট রানী ধানুকে প্রশ্ন করে এই বিয়েকে সে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে। ছোট রানী জানিয়ে দেয় ফুলকির সাথে কোনও রকম সম্পর্ক আর রাখা যাবে না। বিরোধিতা করে ধানু বলে যে সবার সামনে সে কেসে লড়বে বলার আগে একবার তার মতামত নেয়া জরুরি ছিল।
ধানু জানিয়ে দেয় যে সে কখনোই এমন বেআইনি কাজকে সমর্থন করে না। আদিত্যর সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায় এবং সপাটে একটা চড় মেরে দেয় ধানুকে। কান্নায় ভেঙে পড়ে ধানু, ঠিক সেই সময় উপস্থিত হয় ফুলকি আর রোহিত। ধানু সবটা খুলে বলতেই রেগে আগুন হয়ে যায় রোহিত। চিৎকার করে অন্দর থেকে সবাইকে ডেকে আনে আর জানিয়ে দেয় যে এই মুহুর্তেই ধানু নিজের বাড়ি ফিরে যাবে।
আদিত্য ফুলকিকে জানায় ছোট রানীকে অপমান করার অপরাধে ধানুকে মেরে সে কোনও অন্যায় করেনি। ফুলকি তাঁকে বলে চড় মারল কেমন লাগে দেখতে, এই বলে আদিত্যকেও একটা সপাটে চড় মেরে দেয়। সব মিলিয়ে রাজবাড়িতে একটা উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। ধানু বাড়ি ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়, রাজা কোনও রকম পরিস্থিতি সামলে রানী আর আদিত্যকে দিয়ে ক্ষমা চাওয়ালে ধানু আটকে যায়।
আরও পড়ুনঃ সারারাত জেগে রায়ানকে পড়াল পারুল! বাইকে জড়িয়ে ধরে পারুল-রায়ানের এন্ট্রি! তাঁদের সম্পর্কের বোঝাপড়া নষ্ট করতে, ফাঁদ পাতছে শিরীন-তূর্য!
ধানু ফুলকি আর রোহিতকে একটা সুযোগ দিতে বলে আদিত্যকে, কারণ সে জানে আদিত্য এমন খারাপ নয় শুধু মাকে আর ভাইকে ভালোবাসে বলে এমন করে ফেলেছে। বাড়ি ফিরে সবাইকে সবটা জানিয়ে দেয় ফুলকি, সবটা শুনে রায়চৌধুরী বাড়ির সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে। এবার কি তবে ধানুর জীবনে নেমে আসতে চলেছে অন্ধকার? ফুলকি কি পারবে? রাজবাড়ীর অন্ধকার দূর করে বড় রানীকে যোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দিতে আর ধানুর আত্মসম্মান বজায় রাখতে?