জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) র আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পারুল ইউনিভার্সিটি যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে রায়ানকে ডাকতে থাকে। রায়ান ড্রামা ইনস্টিটিউট এর ফর্ম ফিলাপ করে হতে করে নিচে নামতেই পারুল প্রশ্ন করে, খামের ভেতরে কি আছে। রায়ান কিছুতেই বলতে চায় না, ঠিক এই সময়ে দাদু সেখানে প্রচন্ড রাগে রায়ানকে ডাকতে ডাকতে হাজির হন।
দাদু রায়ানের মুখোমুখি হতেই জানতে চান যে কার অনুমতিতে রায়ান পড়াশোনা মাঝ পথে ছেড়ে দিয়ে নাটকের স্কুলে ভর্তি হচ্ছে? রায়ান পারুলের দিকে তাঁকিয়ে বলে পারুল কেন দাদুকে সবটা বলল, পারুল বলে সে কিচ্ছু বলেনি কিন্তু রায়ান তাঁকেই বিশ্বাসঘাতক মনে করে। পরিতোষ রায়ানের পক্ষ নিতে গেলে দাদু তাঁকেও দোষারোপ করে যে সে নাটক করতে পারেনি বলে ছেলেকে উসকে দিয়েছে।

দাদু এরপর কারোর কোনও কথা শোনেন না। দাদু রায়ানকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, যে রায়ানকেই তিনি সোনার দোকানের যোগ্য উত্তরাধিকারী মনে করেন তাই তার ভবিষ্যতে সকল সিদ্ধান্তই আগে থেকে ঠিক করা কারোর অধিকার নেই সেটা বদলানোর। রায়ানের হাত থেকে ফর্মটা নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে দেন তিনি। রায়ান কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁর স্বপ্ন এভাবে শেষ হয়ে যেতে দেখে।
দাদু চলে যেতেই রায়ান পারুল বলে, তাঁর বন্ধু হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই। সবটা জেনেও যে দাদু কেমন আর তাঁর স্বপ্ন যে অভিনেতা হওয়ার, পারুল দাদুকে কেন বলে দিল। আরও বলে যে,”তুই বলেছিলিস আমার স্বপ্নের জন্য সারা দুনিয়ার সাথে লড়বি, এই তার নমুনা?” পারুল বারবার বলতে থাকে যে সে কিচ্ছু বলেনি কিন্তু রায়ান বিশ্বাস করে না।
পিসিমণি পারুলকে সত্যিটা জানতে চাইলে, পারুল বলে যে একবার সে রায়ানকে ভয় দেখিয়েছিল দাদুকে বলে দেওয়ার কিন্তু বলেনি। পারুলের সন্দেহ হয় বাইরের কেউ এটা বলেছে, খোঁজ নিয়ে জানা যায় দাদু তার বন্ধু ষষ্ঠীর দোকানে কচুরি খেতে গেছিলেন। পারুল বুঝে যায় সব সত্যি সেখানেই লুকিয়ে আছে। দোকানে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে একজন তাদের বয়সী ছেলেই দাদুকে সবটা বলেছে।
আরও পড়ুনঃ বড় রাজার মৃত্যু কি দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত খুন! ফুলকি-রোহিতের তদন্তে খুলে পড়ছে রাজমহলের সবার মুখোশ! তদন্তে নেমে ফাঁস হচ্ছে ধামাচাপা দেওয়া ষড়যন্ত্র ! ছদ্মবেশে ছোট রানীর গোপন সাক্ষাৎ রুদ্রর সাথে!
পারুলের সন্দেহ হয় ইউনিভার্সিটির কেউই এই কথা বলেছে, ষষ্ঠী দাদুকে সবার ছবি দেখাতে তূর্যের ছবিতে আঙুল দিয়েই তিনি বলে দেন, এই ছেলেটি এসেছিল। পারুলের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে, পারুলের মনে পড়ে যায় যে এক বন্ধু তাঁকে খবর দিয়েছিল যে শিরীন আর তূর্য প্রেম করছে। রায়ানকে গিয়ে পারুল বলে তাদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি সৃষ্টি করছে শিরীন আর তূর্যই।