জি বাংলার ‘পরিণীতা’তে (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় মল্লার সবাইকে থামিয়ে বলে যে পরেরদিন সকালে তাদের পরীক্ষা আছে, তাই এবার পার্টি শেষ করে বাড়ি যাওয়া উচিত। সবাই যে যার মতন বাড়ি ফিরে যায়, রায়ান-পারুল আর শিরীন একই গাড়িতে ওঠে বাড়ি ফেরার জন্য। মাঝপথে রায়ানের গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়, রায়ান বলে শিরীন আর পারুলকে গাড়িটা একটু ঠেলতে।
এরপর শিরীন আর পারুল একসাথে গাড়ি ঠেলতে থাকে, আর রায়ান তাই দেখে মনে মনে বলে যে এমন দৃশ্য সত্যিই বিরল। রায়ান ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে শিরীন আর পারুলের বন্ধুত্ব যেন এমনই থেকে। বাড়ি ফিরতেই রায়ান-পারুল দাদুর রাগের মুখে পড়ে। দাদু জানিয়ে দেয় যদি পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হয় তাহলে তাঁর রাগের থেকে কেউ তাদের বাঁচাতে পারবে না।

পরদিন সকালে পরীক্ষা দিতে পৌঁছায় রায়ান-পারুল, শিরীন আগে থেকেই মতলব এঁটে রেখেছিল পারুলকে অপদস্থ করার। বন্ধুদের সাহায্যে ইঁদুর ঢুকেছে ঘরে এই বলে নাটক করে, পারুলের পেন্সিল বক্স পাল্টে দেয় তারা। পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা শেষ হতেই সঞ্চিতা হটাৎ চেঁচিয়ে বলে ওঠে পারুল নকল করছে, পারুল নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে কিন্তু অধ্যাপক পারুলের সমস্ত জিনিস পর্যবেক্ষণ করে দেখেন।
শেষে পারুলের পেন্সিল বক্স থেকে টুকলি কাগজ উদ্ধার হয়, সবাই চমকে যায়। রায়ান সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে বলে পারুল এই কাজ করতে পারে না। পারুল অধ্যাপককে জানায় যে তাঁকে যেই অধ্যায় দিয়ে প্রশ্ন করা হবে সে সবকিছুর উত্তর জানে, তাহলে সে কেন টুকলি করবে। অধ্যাপক বলেন পারুলের অতীতে অনেক অবদান রয়েছে এই ইউনিভার্সিটিতে আর তা ছাড়াও পারুল একজন খুব ভালো ছাত্রী।
পারুলকে অধ্যাপক বলেন নতুন প্রশ্নে পারুলকে পরীক্ষা দিতে হবে, পারুল কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা দেয় আর রায়ান বুঝে যায় কিছু একটা গন্ডগোল আছে। পরীক্ষা শেষ হতেই সবাইকে এক জায়গায় জড়ো করে আলোচনা শুরু করে দুজনে। রায়ান সেই টুকলি কাগজ দেখতে যেতেই পেন্সিল বাক্স থেকে বের হয় একটা পেন যেটাতে দাঁতের দাগ থাকার কথা, কারণ আগেরদিন রায়ান ওই পেন মুখে দিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ টেলিভিশনের বাইরেও জমছে অন্য গল্প! টলিপাড়ায় নয়া সম্পর্কের গুঞ্জন! নতুন সম্পর্কে সাহেব ভট্টাচার্য! অনুষার সঙ্গে সাহেবের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু!
রায়ান বুঝে যায় যে এই পেন্সিল বাক্স পারুলের নয়, অবস্থা বেগতিক দেখে সিদ্ধার্থ পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু রায়ান তাঁকে আটকে ব্যাগ ঘেঁটে দেখতেই বেরিয়ে পরে পারুলের আসল পেন্সিল বাক্স। সিদ্ধার্থ স্বীকার করে যে এই চক্রান্তের পেছনে আসল মাথা শিরীন। রায়ানের সহ্যের সীমা পার হয়ে যায়, শিরীনের নামে ডিন স্যারের কাছে অভিযোগ করে এবং সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। শিরীন হেরে যাওয়া মানতে না পেরে আ’ত্মহ’ত্যার পথ বেছে নেয়।