জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

রুক্মিণীর রান্না খেয়ে মুগ্ধ গোপাল! শিরীনের চক্রান্তে দিশেহারা রায়ান! মিথ্যে অসুস্থতার নতুন নাটক, ধরে ফেলল পারুল! রায়ানকে ফেঁসে যাওয়া থেকে কিভাবে বাঁচাবে সে?

জি বাংলার ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’তে (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় নেড়া গোয়ালের দৃশ্য। একদিকে গোপালের মা অনেক কথা শোনাতে থাকেন গোপালকে রুক্মিণী যে গ্রামের জন্য এতোকিছু করছে শুধু ঘরের দিকেই তার অবহেলা, অন্যদিকে রুক্মিণী গোপালের পছন্দের পদ রান্না করে নিয়ে আসে। সবাই খেয়ে খুব প্রশংসা করে রুক্মিণীর হাতের রান্না।

রাতের খাওয়া শেষ হলে, ঘরে গিয়ে গোপাল জানতে চায় যে রুক্মিণী মাছের গন্ধ সহ্য করতে পারে না আবার এদিকে রান্নাটাও অনেক কঠিন ছিল, তাহলে সে করল কেমন করে? রুক্মিণী বলে মালতী তাঁকে এই রান্নাটা শিখিয়েছিল আর সে ফোন রেকর্ড করে রেখেছিল। মাছের গন্ধ যাতে নাকে না আসে, সেই জন্য আঁচলে সুগন্ধি লাগিয়ে নাক ঢেকে রেখেছিল। সব শুনে গোপাল রুক্মিণীর বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করে।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

এদিকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা শিরীনকে নিয়ে পারুলের সন্দেহ হতে থাকে। এর আগেও শিরীন এই হাসপাতালের সঙ্গে মিলে সবাইকে ঠকিয়েছে, তাই পারুল ঠিক করে একবার যাচাই করে নেবে যে শিরীন সত্যিই অসুস্থ কিনা। পারুল গিয়ে শিরিনকে হুমকি দিতে থাকে যে না উঠলে ইনজেকশান ফুটিয়ে দেবে, তারপর সে মারাও যেতে পারে। কিন্তু কিছুতেই শিরীনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনা।

ঠিক সেই সময়ে ঘরে ঢুকেই শিরীনের বন্ধু সঞ্চিতা দেখে পারুলের হতে ইনজেকশান আর সে শিরীনকে সেটা দিয়ে আঘাত করতে যাচ্ছে, চিৎকার করে সবাইকে ডেকে বলে যে পারুল শিরীনকে খুন করতে চায়। পারুল সবটা খুলে বলে যে অতীতের ঘটনাই আবার ঘটছে কিনা সেটাই যাচাই করছিল সে। কোনও তর্ক-বিতর্ক শুরু হওয়ায় আগেই পিসিমণি সবটা সামলে নেন। এরপর ধীরে ধীরে শিরীনের জ্ঞ্যান ফিরে আসে।

ডাক্তার জানায় শিরীন এখন একদম সুস্থ তাই বাড়ি নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু পারুলের সন্দেহই যে একদম সত্যিই, তার প্রমাণ মেলে শিরীনের অদ্ভুতভাবে কাশি আর ঠিক তারই পরে ডাক্তারের বলায়,”ও যা করতে চায়, সেটাই যেন করতে দেওয়া হয় কারণ এই মুহূর্তে কোনও প্রকার উত্তেজনা কিন্তু ক্ষতিকর।” শিরীন হঠাৎ রায়ানকে জড়িয়ে ধরে বলে তাঁর সাথেই থাকতে, রায়ান বোঝানোর চেষ্টা করে।

কিন্তু রায়ানের মা পারুলকে ছোট করতে গিয়ে শিরীনের মা কে কথা দিয়ে দেয়, যে রায়ান থাকবে। তিনি এটাও বলেন দরকার পড়লে দাদুর সাথেও কথা বলে নেবেন। রায়ান অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফেঁসে যায়, আর সেটা পারুল খুব ভালো করেই বুঝতে পারে। বৌদিমণিও পারুলকে বলে যে একটা গন্ডগোল হচ্ছে। এদিকে বসু বাড়িতে পারুলের জন্মদিন উপলক্ষে তার মা এসে হাজির। আসতেই তিনি জামাইয়ের খোঁজ করছেন, পারুল সিদ্ধান্ত নেয় যেভাবেই হোক রায়ানকে উদ্ধার করে আনবে।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page