জি বাংলার ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ডাক্তার কাকা নিজে এসে ছোট রানীকে জানান যে ছোট কুমারের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তিনি তুলে নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে অল্প বয়সে উত্তেজনার বশে এমন দূর্ঘটনা ঘটে গেছে, আর তাঁর জন্য ইন্দ্র যথেষ্ঠ শাস্তিও পেয়েছে। এরপর ইন্দ্রকে কাছে পেয়ে আদিত্য আর ছোট রানীর মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
লাবণ্য ছোট রানীকে বলেন, তাঁর আর কোনও আপত্তি আছে কিনা ধানু-আদিত্যর অষ্টমঙ্গলায় যাওয়া নিয়ে। ডাক্তার কাকার কাছে আদিত্য কৃতজ্ঞতা জানায়। আদিত্য মায়ের অনুমতি নিয়ে অষ্টমঙ্গলায় যাওয়ার জন্য তৈরী হতে যায়, ছোট রানী বিরোধিতা করে আর কোনও কথা বলতে পারেন না। ফুলকির সাহস দেখে তিনি ভাবেন, যতটা সোজা মনে হয়েছিল ফুলকি তার ঠিক উল্টো। যে কাউকে অপ্রস্তুত পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে।

এরপর দেখা যায় ব্যান্ড পার্টি সহযোগে ফুলকি, তমাল, বিহাল আরও নবাবগঞ্জের লোকেরা নাচতে নাচতে নিয়ে যায় ধানু-আদিত্যকে। ফুলকি কারোর কথা শোনেনা, গান-নাচ কিছুতেই বন্ধ করে না সে। বাড়ি পৌঁছালে জেঠিমণি ধানু-আদিত্যকে বরণ করে ঘরে তোলে। দুজনের মধ্যে যে কিছুই ঠিক নেই, এই বিষয়টা বুঝতে পারে ফুলকি। দায়িত্ব নেয় ফুলকি অষ্টমঙ্গলা শেষ হওয়ার আগেই ধানু-আদিত্যকে আবার এক করবে সে।
ধনু সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নতুন করে একটা সুযোগ দিতে চায় তাদের সম্পর্ককে। কিন্তু আদিত্যকে মনে মনে বলতে শোনা যায়, “ইন্দ্র ফিরে এসেছে তাই এটা যেমন সত্যিই, তেমন বিপদের সময়ে পাশে দাঁড়াতে অস্বীকার করেছিল ধানু।” এই কথাটা দিয়েই আদিত্য বুঝিয়ে দেয়, যে এতো সহজে ধানুকে সে ক্ষমা করতে পারবে না। রাতে রায়চৌধুরী বাড়ির সবাই আলাপ আলোচনা শুরু করলেই খোঁজ পড়ে ধানু কোথায়? সারা বাড়ি খুঁজেও ধানুর খোঁজ পাওয়া যায়না।
আরও পড়ুনঃ জি টিভি-র নাম বদলে জি বাংলা! চ্যানেলের নাম দেখে মাথায় হাত দর্শকদের! তাহলে কি এবার বাংলা ধারাবাহিক পাবে নতুন ঠিকানা?
ফুলকির মনে হয় ছাদে থাকতে পারে ধানু, আদিত্য ছাদে যেতেই দেখে ধানু আ’ত্মঘা’তী হওয়ার চেষ্টা করছে। আদিত্য কোনও রকমে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনে ধানুকে। অন্যদিকে ছোট রানীর আশ্রয়ে দেওয়া ছোট্ট ঘরে দম বন্ধ হয়ে আসছে রুদ্রর, ঠিক এই সময়ে রানীর আগমন ঘটে রুদ্রর ঘরে। রানীর কাছে বিলাসবহুল জায়গাতে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করে রুদ্র, রানী চব্বিশ ঘণ্টার সময়ে দেয় রুদ্রকে, আর বলেন যে সত্যিটা না জানালে আবার পুলিশের হতে তুলে দেবেন তিনি।
তিনি আরও বলবেন সংশোধনাগারে আগুন রুদ্রই লাগিয়েছিল। এবার ছোট রানীকে ভয় দেখিয়ে রুদ্র বলে, রানী যদি তাঁর অন্য জায়গায় থাকার ব্যবস্থা না করেন, তবে রুদ্র উত্তরাধিকারীকেই সব সত্যি জানিয়ে দেবে। রানী বলেন আজ পর্যন্ত তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারেন নি, আজও পারবে না। এই বলে রানী চলে যেতেই রুদ্র মনে মনে বলে, নিজের স্বার্থে হলেও রানী তাকে নতুন জীবন দেবেই! এবার কি তবে ফুলকির আসল পরিচয় আসতে চলেছে সবার সামনে?