জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রুক্মিণী গোপালের ভাইয়ের বউকে নিজের বিয়ের গয়না দিয়ে বলে বিক্রি করে টাকা এনে দিতে, তাঁর বিদেশ যাওয়ার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন তাই। কিন্তু গোপাল সমস্ত ঘটনা জেনে যায়। রুক্মিণীকে তার গয়নার বাক্স ফিরিয়ে দিয়ে গোপাল বলে, এই গয়না বড়দের আশীর্বাদ স্বরূপ আর এগুলেই স্ত্রীধন বলা হয়। এগুলোকে কয়েকটা টাকার জন্যে বিক্রি করে দেওয়া অপরাধ।
গোপাল ব্যথিত হয়ে রুক্মিণীকে বলে, টাকার প্রয়োজনের কথাটা সে নিজের মুখেই জানতে পারতো, তাহলে অন্যের মুখ দিয়ে শুনে কষ্ট পেতে হতো না। এরপর কিছু টাকা রুক্মিণীর হাতে তুলে দিয়ে গোপাল বলে, এটা তাঁর স্বামী হিসেবে কর্তব্য পালন। এরপর তো আর সে এখানে থাকবে না। তাই যে কটা দিন আছে, গোপাল কর্তব্য পালন করেই যাবে। গোপাল চলে যেতেই তাঁর বৌদি রুক্মিণীকে বলে, জীবনে হয়ত সে অনেক কিছু পাবে কিন্তু যে মানুষটাকে হারালো সে খাঁটি সোনা ছিল।

অন্যদিকে পারুল-রায়ান হিসেব করতে বসে, তাদের ব্যাবসায় কত লাভ হলো। রায়ান পারুলকে বলে তাঁর অংশের লভ্যাংশ দিয়ে দিতে, সে উদযাপন করতে চায়। পারুল রেগে গিয়ে টাকা দিয়ে ঘর ছেড়ে রাস্তায় শুতে চলে যায়, রায়ান সাবধান করে যে তূর্য এই এলাকা চিনে গেছে তাই আবার কোনও বিপদ ঘটাতে পারে। পারুল চলে যায়, রায়ানও কিছু পানীয় কিনে এনে মনের আনন্দে পান করতে থাকে। তূর্য খোলা দরজার সুযোগ নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে, পিছনে দাঁড়িয়ে একটা রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে রায়ানকে।
রায়ান মুহূর্তেই অজ্ঞান হয়ে যায়, এরপর একটা ব্যাগে ভরে তূর্য গাড়িতে তুলতে গিয়ে দেখে অনেক দূরে গাড়ি। ব্যাগটা সাইডে রেখে গাড়িটা সামনে আনতে যায় সে। এদিকে ঘুমের ঘোরে কারণ স্বপ্ন দেখে তূর্য তার উপর আক্রমণ করেছে। তাড়াতাড়ি করে রায়ানের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পারুল। তূর্য এসে অবশেষে ওই ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়ে তূর্য ঘোষণা করে, নিজের দাদুর মৃত্যুর প্রতিশোধ আর পারুলের কাছে পৌঁছানোর রাস্তায় যে কাটা ছিল সেটাকে সে সরিয়ে ফেলেছে আজীবনের জন্যে।
আরও পড়ুনঃ “আমার প্রিয় অভিনেত্রী মা!” “যদি সুযোগ পাই, মায়ের সঙ্গেই অভিনয় করব!”—মায়ের প্রতি আবেগাপ্লুত ছেলে! সন্তানকে ফোনের নেশা থেকে বাঁচাতে বোর্ডিং স্কুলে পাঠিয়েছিলেন পুষ্পিতা, বহুদিন পর জনসমক্ষে আনলেন নিজেই!
পরদিন সকালে অত্যন্ত ভালো মেজাজে তূর্য সবার সাথে ইউনিভার্সিটি তে ব্যবহার করে। কেউ বুঝতে পারে না কি কারণ, হঠাৎ পারুলকে একা দেখে সবাই রায়ানের খোঁজ করে। পারুল জানায় আগেরদিন রাত থেকে রায়ানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তূর্য সান্তনা দিতে আসে কিন্তু সেই মুহূর্তেই রায়ান সেখানে উপস্থিত হয়। তূর্য আতঙ্কিত হয়ে পড়ে আর পারুল জানায়, রায়ানকে মারার চেষ্টা করেছিল তূর্য যদিও তাদের কাছে কোনও প্রমাণ নেই। কিন্তু এবার তারা তূর্যকে মারবে আর সেটারও কোনও প্রমাণ থাকবে না।