জি বাংলার ‘ফুলকি’র (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ছোট রানীর সব ষড়যন্ত্র বিফল করে দিয়ে, রোহিত-ফুলকি অবশেষে বড় রাজাকে নিয়ে আসে রাজমহলে। ফুলকি আর দাদা রোহিত বেঁচে আছে দেখে ধানু ছুট্টে গিয়ে তাঁদের জড়িয়ে ধরে। এদিকে ছোট রানীর আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে বড় রাজার ফিরে আসা নিয়ে।
ফুলকি সবাইকে বলে, চব্বিশ বছর আগের ওই ঘটনার পর রাজা মারা যাননি বরং স্মৃতিশক্তি হারিয়ে সাধক দলে নাম লিখিয়েছিলেন। ছোট রানী বলেন, এটা সম্পূর্ন একটা সাজানো ঘটনা, ফুলকি এই লোকটাকে বড় রাজা প্রমাণ করতে চাইছে কারণ ওর সম্পত্তির লোভ। ফুলকি পরামর্শ দেয়, তাহলে চুল-দাড়ি কাটা হোক সাধকের।

এরপর প্রজারাই বিচার করুক যে ইনি তাঁদের রাজা কি না। বড় রাণী এদিকে দ্বিধায় পড়ে যায়, ফুলকি আশ্বস্ত করে যে ইনি-ই বড় রাজা। এরপর সাধকের চুল দাড়ি কাটা হলে দেখা যায়, ওনাকে সত্যিই হুবহু বড় রাজার মতো দেখতে। কিন্তু এতোদিন রাস্তাঘাটে এদিক ওদিক থাকায় দেহের রং খানিকটা হলেও পুড়েছে আর শারীরিক কিছু পরিবর্তনও এসেছে।
ছোট রানী বলেন, ইনি যদি বড় রাজা হন তবে নিশ্চয়ই বলতে পারবেন তিনি কোন বই পড়তে ভালোবাসতেন। কিন্তু তিনি সাধনা ছাড়া কোনও উত্তরই দিতে পারেন না। বড় রানী বলেন, রাজার ডান পায়ের হাঁটুতে একটা জন্ম দাগ ছিল। সেই মতো রোহিত বড় রাজার হাঁটু পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখে, অদ্ভুতভাবে ওই অংশটাই পোড়া।
আরও পড়ুনঃ রায়ানকে খু’ন করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিল তূর্য! এরপরও শেষ রক্ষা হল? বিদেশ যাওয়ার লোভে স্ত্রীধন বিক্রি! গোপালের চোখে জল, রুক্মিণীর মুখে নীরবতা! যে মানুষটা ছিল খাঁটি সোনা, রুক্মিণী কী হারালো চিরতরে?
ছোট রানী ফুলকি আর বড় রাজাকে মিথ্যেবাদী ঘোষণা করে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতে যান কিন্তু ফুলকি বলে, সে বড় রাজার অধিকার ফিরিয়ে দেবেই আর দরকারে কোর্টে যাবে। ছোট রানী বলেন, এমন অদ্ভুত মামলা কে লড়বে ফুলকির হয়ে? ধানু জানায় সে লড়বে ফুলকির হয়ে, যাতে সত্যের জয় হয় এবং মিথ্যের পরাজয়।