জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রাতের অন্ধকারে শিরীনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রায়ান দেখা করতে আসে পরুলের সঙ্গে। অনেক ডাকার পরে, ঘুম ভাঙতেই পারুল দেখে জানলার বাইরে কেউ একটা দাঁড়িয়ে। পর্দা সরাতেই দেখে রায়ান দাঁড়িয়ে আছে। পারুল ভেতরে ডাকে কিন্তু রায়ান বলে, শিরীন এখন ঘুমাচ্ছে তাই চুপিচুপি এসেছে কিন্তু ফিরতে হবে আবার।
পারুলকে বাইরে আসতে বলে রায়ান, পারুল তাড়াতাড়ি করে সেখানে যায়। ভোরের আলো ফুটতে বাকি তখনও অনেকটা সময়, দুজনে ফাঁকা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কথাবার্তা বলতে থাকে। রায়ান পারুলকে জানায় যে কিভাবে শিরীন মারার হুমকি দিয়ে তাঁকে নিজের ইচ্ছা মতন ব্যবহার করছে। পারুলের কাছে অনুরোধ করে রায়ান, প্রতিবারের মতন এবারেও তাকে বাঁচাতে।

পারুল জানতে চায়, এবার কি সে চিরতরে শিরীনের সঙ্গে সব সম্পর্ক শেষ করতে রাজি? রায়ান বলে আর না, শিরীনের কাছ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুক্তি চায় সে। পারুল কথা দেয় যে রায়ানকে সে নিশ্চয়ই উদ্ধার করে আনবে। এরপর দুজনে যে যার জায়গায় ফিরে যেতে থাকে। হঠাৎ রায়ান পারুলকে ডাকে, পিছন ফিরতেই দেখে পারুল যে রায়ান হতে ফুলের তোড়া নিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছে।
ভোরের প্রথম আলোর সাথেই রায়ান পারুলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়াটা তুলে দেয় হাতে, ঠিক যেন প্রেমের স্বীকারোক্তি। প্রসন্ন মনে পারুল বাড়ি ফিরে এসে ফুলগুলো সাজিয়ে রাখতে রাখতে মনে করতে থাকে রায়ানের সঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত। সেই সময়ে দাদা, বৌদিদি এবং মল্লার এসে পারুলকে উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। ফুলের তোড়াটা কে দিল জিজ্ঞেস করলে বৌদিদি, পারুল সবটা খুলে বলে।
অন্যদিকে শিরীন রায়ানকে ব্যস্ত রাখতে সারাদিন বাইরে থাকার প্ল্যান করে। শিরীনের চাপের মুখে পরে, রায়ান মন খারাপ করে ঘরে চলে যায়। শিরীনের মা শিরীনকে বলে যে রায়ানকে পেতে গেলে ঠিক তাঁর মতোই কড়া হতে হবে। অতীতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি জানান, শিরীনের বাবার আগে একজন বিবাহিতা স্ত্রী ছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্বেও তাঁকে ছেড়ে শিরীনের মায়ের কাছে চলে আসেন তাঁর বাবা। তিনি বলেন এমন করেই হাতের মুঠোয় করতে হবে রায়ানকেও।
এদিকে বসু বাড়িতে পারুলের জন্মদিন উপলক্ষে গোপাল আর রুক্মিণীও এসে উপস্থিত হয়। পারুল সবাইকে দেখে খুব খুশি হয় আর জানায় এবারের জন্মদিনের মতন আগে কখনও এতো আনন্দ হয়নি। সবাইকে প্রণাম করে পারুল। রায়ানের মাকে প্রণাম করতে গেলে, তিনি একমাত্র প্রত্যাখ্যান করেন। মনে মনে কষ্ট পায় পারুল, কিন্তু দাদু ঠাকুমা পারুলকে সোনার দোয়াত আর কলম উপহার দিয়ে চমকে দেয়।
আরও পড়ুনঃ রাজদীপ-তন্বীর সম্পর্কে ফাটল! একে অপরকে করলেন অনফলো! সমাজ মাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে বিস্ফোরক তন্বী! সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির ইঙ্গিত দিলেন তন্বী নিজেই! কে সেই জনপ্রিয় মুখ?
সারাদিন রায়ানকে আটকে রাখার পরে, সন্ধ্যেবেলা রায়ান জেদ ধরে বসে পারুলের জন্মদিন এসে যাবেই। শিরীন আবার মরার হুমকি দেয়, কিন্তু রায়ান আর ভয় পায়না। শিরীন বলে রায়ান যদি চলে যায় তবে এক্ষুনি ছাদ দিয়ে ঝাঁপ দেবে সে। ছাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়ায় শিরীন, ঠিক তখনই পারুল এসে বলে ঝাঁপ দিয়ে দিতে, দুনিয়া দেখুক যে রায়ানের জন্য শিরীন মরতেও পারে। শিরীন কি তবে সত্যিই ঝাঁপ দেবে? জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।