জি বাংলার ‘ফুলকি’ (phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় গুরুদেবের ভেকধারী রুদ্র ফুলকিকে উদ্দেশ্য করে একটা ফুল ছুড়ে দেয়, যেটা গিয়ে ফুলকির হতে পড়ে। ছোট রানী একাধারে স্তম্ভিত এবং আতঙ্কিত। রুদ্রর কথা মতো যার কাছে ফুল থাকবে সেই আসল উত্তরাধিকারী। কিন্তু ফুলকি বড় তরফের সন্তান, এ কথা ছোট রানী কিছুতেই মানতে পারেন না।
এরপর ফুলকি আবারও লুকিয়ে দেখা করতে যায় বড় রানীর সঙ্গে। ফুলকিকে দেখে রানী মা খুব খুশি হন, আর নিজের হাতে বানানো নারকেল নাড়ু, সন্দেশ এসব খেতে দেন। দুজনে বেশ সুন্দর সময় কাটাতে থাকে হাসি মজা দিয়ে। হঠাৎ ছোট রানী এসে দুজনকে একসাথে দেখে আরও চিন্তায় পড়ে, যদি দুজনে নিজেদের সম্পর্কের কথা জেনে যায় তাহলে কি হবে।

তাড়াতাড়ি গিয়ে বলেন ফুলকিকে এবার নিজের ঘরে যেতে। হঠাৎ লক্ষ্য করেন ছোট রানী এবং ফুলকির মুখের মিল, এমনকি ফুলকি যে বড় রানীকে বড় মা বলে ডাকতে শুরু করেছে। বড় রানী নিস্তেজ থেকে হঠাৎ প্রাণবন্ত কিভাবে হয়ে গেলেন, দেখতে গিয়ে ছোট রানী বুঝতে পারেন আজ বড় নারী ওষুধ খায়নি। জোর করতে থাকেন ছোট রানী ওষুধ খাওয়ার জন্য।
ফুলকির সন্দেহ হয়, যে ওই ওষুধে নিশ্চয়ই কোনও গোলমাল আছে। ফুলকি কিছু ওষুধ সরিয়ে রাখে পরীক্ষা করবে বলে। এরপর ফুলকি ধানুর সঙ্গে দেখা করতে যায়, কিছুক্ষণ পর রোহিত আর আদিত্য এসে হাজির হয়। রোহিত ফুলকিকে বলে ধানু-আদিত্যকে একা ছেড়ে দিতে এবার। ছোট রানী দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে দেখেন আদিত্য পুরো পাল্টে গেছে, পুরনো রাগ আর নেই।
ধানুর কাছাকাছি আসছে সে। রানী মিথ্যে মিটিংয়ের নামে আদিত্যকে ধানুর থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। অন্যদিকে রুদ্র আনন্দে গান গাইতে থাকে, ছোট রানী গিয়ে তাঁকে বলে একটা কাগজ দেখলেই প্রমাণ হয়ে যায় না যে ফুলকি এই বাড়ির সন্তান। আরও বড় প্রমাণ চায় সে, রুদ্র বলে ভালোমন্দ না খেলে আর কিছু বলতে পারবে না। ছোট রানী খাওয়ার এনে দেন।
রুদ্র বুদ্ধি দেয় যে ডিএনএ টেস্ট করলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এদিকে রাতে ফুলকির ঘুম আসে না, রোহিতের জিজ্ঞেস করতে সে বলে, রানী মায়ের মতন সেও চব্বিশ বছর ধরে একই কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছে। সেই জন্য রানীর হয়ে এতোকিছু করছে সে। রোহিত কথা দেয় যে সবসময়ে পাশে থাকবে ফুলকির। ঘুমানোর চেষ্টা করলেও ফুলকির ঘুম আসেনা কিছুতেই।
আরও পড়ুনঃ ভোরের প্রথম আলোতে পারুলের কাছে ফুলের তোড়া হাতে রায়ান! পারুলের প্রেমে পড়ে গেল রায়ান! শিরীনের হুমকির মাঝেই জন্মদিনে প্রেমের স্বীকারোক্তি! রায়ানকে বাঁচাতে এবার চরমে পারুল!
রোহিতের ঘুমিয়ে পড়ার পর ফুলকি চুপিচুপি বড় রানীর ঘরে গিয়ে তাঁর পাশেই শুয়ে পড়ে। সেখানেই শান্তির ঘুম ঘুমায় সে। রোহিতের হঠাৎ ঘুম ভাঙতেই ফুলকিকে না দেখে খোঁজ শুরু করে, অন্যদিকে রুদ্র বড় রানীর ঘরে গিয়ে ফুলকিকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা টিপে খুনের চেষ্টা করে। এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।