জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় পারুলের প্রতি আবার দুর্বল হয়ে পড়েছে রায়ান। স্নান করে ভিজে চুলে শাড়ি পরতে থাকা পারুলকে সে চুপিচুপি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। মনে করতে থেকে পারুলের সঙ্গে কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলি। পারুল কিছু বোঝার আগে রায়ান অন্যত্র সরে যায়। পারুল শাড়ি পরে আসলে, রায়ান তাঁকে সুন্দর দেখতে লাগছে বলে প্রশংসা করে।
পারুল মনে মনে আবার ভেঙে পড়ে এই কথা শুনে। সে ভাবে, যতবার নিজেকে রায়ানের থেকে সরিয়ে নেয়, ততবারই রায়ান এমন এক মন্তব্য করে তাঁকে দুর্বল করে দেয়। এরপর পারুল রায়ানকে বলে বসু বাড়ি ফিরে যেতে, কারণ তূর্য দিনে দিনে আরও হিংস্র হয়ে উঠছে প্রতিশোধস্পৃহায় আর রায়ান সব থেকে বেশি নিরাপদ থাকবে নিজের বাড়িতেই। কিন্তু রায়ান ফিরে যেতে চায় না।

এমন সময় দরজায় কেউ ধাক্কা দেয়, তূর্য এসেছে ভেবে পারুল-রায়ান হাতে ছুড়ি নিয়ে দরজা খুলতেই অবাক হয়ে যায়। ঠাকুমা, রায়ানের মা এবং পিসিমণি এসেছেন তাঁদের বসু বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। তবে আবারও রায়ান না করতেই, ঠাকুমা মাথার দিব্যি দেন যে বাড়ি না ফিরে গেলে তার মরা মুখ দেখবে। এরপর বাধ্য হয়ে পারুল রায়ান ফিরে আসে বসু বাড়ি।
বাড়ি ফিরতেই দাদু রায়ানকে আপন করে নেন এবং পারুলকে বাইরের লোক বলে কটাক্ষ করেন। পারুলকে সবাই বলে, দাদুর কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে। পারুল ক্ষমা চাইতে গেলেও তিনি অবজ্ঞা করে চলে যান। রায়ান বলে, বাড়ি ফিরলেও তারা নিজেদের স্বাধীন ব্যবসা বন্ধ করবে না। পারুলকে রায়ান তাঁর সঙ্গে দোকানে যেতে বললে, পারুল না করে দেয়।
আরও পড়ুনঃ চৌধুরী মহলে ফিরেই একের পর এক বিপদে বড় রাজা! বড় রানীর চূড়ান্ত পরীক্ষায় মুখ থুবড়ে পড়ল সত্য-মিথ্যার লড়াই! শুক্তোর স্বাদেই ফাঁস হল ছদ্মবেশ! ভেঙে পড়লেন বড় রানী! এবার কি করবে ফুলকি?
এদিকে ন্যাড়া-গোয়ালে রুক্মিণী বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। গোপালকে সে বলে, পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন, তবুও গোপালের কথা সে কোনদিন ভুলতে পারবে না। রুক্মিণী চলে যেতেই গোপাল কান্নায় ভেঙে পড়ে, নিজেকে দুর্বল ভাবতে শুরু করে গোপাল। রুমিনের উপর সে কোনদিনই কেন কর্তৃত্ব ফলাতে পারল না, এই ভেবেই আরও কষ্ট পায় সে।