জি বাংলার ‘ফুলকি’র (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় আরতির তাপ ফুলকির মাথায় ছুঁইয়ে দেন বড় রাজা। তিনি রোহিতকে অনুরোধ করেন তাঁকে আবার শ্মশানে ছেড়ে দিয়ে আসতে, কারণ এই জায়গায় এত মানুষের ভিড় তাঁর পছন্দ হচ্ছে না। চৌধুরী মহলকে তিনি বলেন নরক, যেখানে সবাই খুব হিংস্র। তিনি শুধু নৃসিংহদেবের মন্দিরেই একটু শান্তি খুঁজে পেয়েছেন।
এদিকে বড় রানীর ঘর থেকে বেরোনো বারণ, তাই প্রভা এসে নৃসিংহ দেবের মন্দিরে যা যা হয়েছে খুলে বলেন রানীকে। রানী তাঁকে নির্দেশ দেন, তাড়াতাড়ি সবাইকে ডেকে আনতে কারণ তাঁর কিছু জরুরী সিদ্ধান্ত নেওয়ার আছে। সেই মতো সে গিয়ে খবর দিতেই সবাই ছুটে আসে। বড় রানী বলেন, তিনি আবার একবার পরীক্ষা করে দেখতে চান যে ওই ব্যক্তি বড় রাজা কি না।

সবাই রাজি হলেও ছোট রানী আপত্তি করেন ওই ব্যক্তিকে আবার রাজ মহলে ঢুকতে দেওয়া নিয়ে। বড় রানী নিজের সিদ্ধান্তে অনড় দেখে ছোট রানী অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হন। মনের মধ্যে ভয় তো আছেই যে সত্যিই যদি রাজাকে চিনতে পারেন বড় রানী। অন্যদিকে ছোট রাজা জানেন যে ওই ব্যক্তিই আসল বড় রাজা এবং তাঁর ভাই। কিন্তু পরিস্থিতি চাপে তিনি মুখ ফুটে সে কথা বলতে পারেন না।
ফুলকিরা নবাবগঞ্জ যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন সময় তিনি গিয়ে বড় রানীর পরীক্ষার কথা জানান এবং রাজমহলে ফিরতে বলেন। ফুলকিরা সেখানে যেতেই দেখে খাওয়ার নিয়ে কিছু একটা হতে চলেছে। বড় রাজাকে খেতে বসতে বলা হয় এবার। ফুলকি কি হচ্ছে সেটা বুঝতে না পেরে ধানুকে জিজ্ঞেস করে, ধানু বলে বড় রানীর হাতে রান্না করা বিশেষ শুক্তো বড় রাজার অত্যন্ত পছন্দ ছিল।
আরও পড়ুনঃ “সুপারহিট দুই ছবি, তবু ও আমার স্ত্রী বলেই কেউ ডাকছে না!” “চূর্ণীর ব্যর্থতা নয়, সফলতাই যেন অভিশাপ!” — স্ত্রীকে নিয়ে মন খারাপ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের! চূর্ণী গাঙ্গুলিকে অবজ্ঞা করছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি!
তাই বড় রানী দেখতে চান এই ব্যক্তি সেই স্বাদ বুঝতে পারেন কি না। এরপর পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে খেতে দেওয়া হয় রাজাকে। তিনি প্রথমে শুক্তোর বাটিটা হাতে তুললেও সেটা মুখে দিতেই থুঃ থুঃ করে ফেলে দেন। বড় রানীর হৃদয় ভঙ্গ হয়, তিনি জানিয়ে দেন যে এই ব্যক্তি কখনোই বড় রাজা হতে পারেন না। বড় রাজা শুক্তো দিয়ে এক থালা ভাত খেতেন, বলতেন মরে গেলেও সেই সব ভুলবেন না।