জি বাংলার ‘পরিণীতা’ (Parineeta) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় তূর্য পাগলামির সীমা ছাড়িয়ে গেছে, সে পারুলকে বলতে থাকে, যদি তাঁকে না পায় তবে মেরে দেবে কিন্তু আর কারোর হতে দেবে না। পারুলকে হুমকি দিয়ে বলে এখন পারুল শুধু তার, তাই যা খুশি করতে পারে সে পারুলের সঙ্গে। মনে মনে পারুল নিজেকে দোষ দিতে থাকে আর ভাবে একসময় এই মানুষকে নিজের বন্ধু ভেবেছিল।
পারুল আশপাশ দেখে বোঝার চেষ্টা করে কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাকে। পারুল বুঝতে পরে যে তাকে ইউনিভার্সিটির কোনও জায়গাতেই রাখা হয়েছে। তূর্য পারুলকে বলে একবার তাঁর ভালোবাসা স্বীকার করে নিতে, তারপর সবাইকে দেখে নেবে যারাই তাদের মাঝে আসতে চাইবে। তূর্যর উন্মাদনা দেখে পারুল রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে সে। তূর্যকেও পারুল জানিয়ে দেয়, যে মরে গেলেও তার ভালোবাসা স্বীকার করবে না।

অন্যদিকে বসু বাড়িতে পুলিশ আসে পারুলের নিখোঁজ হওয়ার তদন্ত করতে। রায়ান সবকিছু খুলে বলে যা যা ইউনিভার্সিটিতে হয়েছে, পুলিশ কারোর উপর সন্দেহ আছে কি না জানতে চান। না ভেবেই তূর্যর নাম নিয়ে ফেলে রায়ান। মল্লার বলে আগের দিন বাড়িতে এসে অনেক ঝামেলা করে গেছে সে, রীতিমতো ছুরি দিয়ে মারার চেষ্টাও করেছিল। দূরে দাঁড়িয়ে রায়ানের মা বলেন যে পারুলকে তূর্য ভালোবাসে।
তাই তাঁর মনে হয় দুজনে একসাথে পালিয়েছে। এই কথা শুনে রায়ান অত্যন্ত রেগে যায় আর বলে, যারা পারুলকে চেনে আর ওর সাথে মিশেছে তারা জানে পারুল কেমন। মাকে বলে রায়ান,”তুমি মিশতে পারনি তাই চিনতেও পারনি, এরম কথা বলার অধিকার নেই তোমার।” সবাইমিলে রায়ানের মাকে সবসময় পারুলের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য অনেক কিছু বলে। অপমানিত হয়ে সেখান থেকে চলে যান তিনি।
দাদুকে চিন্তায় দেখে রায়ান বলে, আকাশ-পাতাল খুঁজে হলেও সে পারুলকে ঠিক ফিরিয়ে আনবে। রাতে রায়ানের ঘরে খাওয়ার নিয়ে যান তার মা। রায়ান এইদিকে ব্যস্ত পারুলের চিন্তায়, সব চেনা যায় মানুষকে পারুলের নিখোঁজ হওয়ার পোস্টার পাঠাতে থাকে। রায়ান সবকিছু বন্ধ করে খাওয়ার খেতে বললেই, সে বলে ওঠে যেখানে পারুল কিছু খেয়েছে কিনা বা ঠিক আছে কিনা জানা নেই, সেখানে কিছু খেতে পারবে না সেও।
আরও পড়ুনঃ “নিজের টাকায় ইন্টারনেট ব্যবহার করি, যা ইচ্ছে পোস্ট করব”, নিন্দুকের ভয়ে শরীর ঢাকাতে রাজি নন ঋ! শরীরকে লজ্জার নয়, অভিব্যক্তির মাধ্যম মনে করেন তিনি! ‘ঠাকুরপুকুর কাণ্ডের পরেও নির্লজ্জ ঋ!’ বলছে নেটপাড়া
পারুলকে বারবার তূর্য প্রেম নিবেদন করতে থাকে আর পারুল একই উত্তর দেয়, যে মরে গেলেও সে মানবে না। তূর্য রেগে গিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় সেই জায়গায়, আর বলে এবার দুজনে একসাথে মরবে। ঠিক সময় মতন রায়ান সেখানে উপস্থিত হয়। এরপর কি রায়ান পারবে তূর্যর হাত থেকে পারুলকে ফিরিয়ে আনতে? জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।