জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় অবশেষে রাজবাড়িতে দান- ধ্যানের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে, প্রথমে গুরুদেব এসে উপস্থিত হয় তারপরে ছোট রানী। চারিদিকে সবাই জয়ধ্বনি দিতে থাকে ছোট রানীর, একে একে সবার হাতে দানের জিনিস তুলে দেন তিনি। দূরে দাঁড়িয়ে ফুলকি মনে মনে ভাবে ছোট রানীর মনের মধ্যে কোন কিছু নিয়ে যথেষ্ট ভয় রয়েছে, যার কারণে ফুলকির মুখোমুখি হলেই তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এদিকে অনেকক্ষণ অনুষ্ঠান চলার পথ লাবণ্য ইচ্ছা প্রকাশ করে গুরুদেবকে নমস্কার করে আশীর্বাদ নেওয়ার। ছোট রানীর কাছে অনুমতি চাইলে মনে মনে তিনি ভাবেন রুদ্রর কাছাকাছি গেলে যদি কেউ চিনতে পেরে যায় কিন্তু রুদ্র ইশারায় বলে তেমন কিছু হবে না। একে একে লাবণ্য রোহিত সবাই গুরুদেবকে নমস্কার করে, ভেকধারী রুদ্র মনে মনে খুব খুশি হয়। একদিন যারা তাকে অপমান করে জেলে পাঠিয়েছিল তারাই আজ তার পায় মাথা ঠুকছে।

এরপর ফুলকি যায় নমস্কার করতে, রুদ্রর ইচ্ছা হয় আবার ফুলকিকে মারার কিন্তু তার আগেই ফুলকি বলে ওঠে, বড় রানীর ঘরে কি তার কিছু পড়ে গেছ? বলেই হাতে সেই কুড়িয়ে পাওয়া পুঁতি দুটো দেখিয়ে দেয়। এতক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকলেও, আচমকাই এমন কথা শুনে চোখ খুলে তাকিয়ে ফেলে রুদ্র। তার চোখের দিকে তাকিয়ে ফুলকির মনে হয় এমন চোখ সে আগেও দেখেছে। কাউকে কিছু না বলেই, সারা সারা রাস্তা গুরুজি কে নিয়েই ভাবতে ভাবতে আসে সে।
বাড়ি ফিরেই সবাইকে গুরুজির কথা বললে কেউ বিশ্বাস করে না উল্টে তাঁকেই বলে গুরুজি বিদেশে থাকেন তাই কোনভাবেই তাকে আগের থেকে চেনা সম্ভব নয়। রোহিতের অবর্তমানে স্বাগতা ম্যাডামের ফোন আসে, তিনি জানান সীতারামের খু’নী পিন্টুর সম্বন্ধে খোঁজ পাওয়া গেছে তাই তাড়াতাড়ি চলে আসতে বলেন তিনি। ফুলকির সঙ্গে স্বাগতা সেই জায়গায় পৌঁছাতেই, তাঁকে যে খোঁজ দিয়েছিল সে একটা গুদামে নিয়ে যায় দুজনকে। দুজনে প্রবেশ করতেই বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে চলে যায় সে।
কিছুক্ষণ পর সেখানে পিন্টু আরও কিছু গুন্ডা নিয়ে হাজির হয়। মারপিট চলতে থাকে দুই পক্ষের মধ্যে, এদিকে ফুলকির ফোন পড়ে থাকতে দেখে রোহিত সেটা খুলে জানতে পারে স্বাগতার ফোন এসেছিল। রোহিত বুঝে যায় কোনও একটা বিপদ হয়েছে, পুলিশ স্টেশনে ফোন করে সাহায্য চায় সে। এদিকে মুখ ঢাকা অবস্থায় হঠাৎ একজন রহস্যময় ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। ফুলকির দিকে বন্ধু তাক করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। তার চোখ দুটোর দিকে তাঁকিয়ে আবার ফুলকির মনে হয় এই মানুষটি তার খুব চেনা।
আরও পড়ুনঃ তূর্যের উন্মাদ প্রেমের ফাঁদে পারুল! পারুলকে না পেলে আ’গুনে পুড়ি’য়ে মা’রবে! মৃ’ত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে পারুল! রায়ান কি পারবে বাঁচাতে?
এক পর্যায়ে ফুলকির মনে হয় এটাই গুরুজি। কোনও রকমে বেঁচে যায় ফুলকি, ঠিক সময় পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছানোতে। ফুলকির সন্দেহ হয় ওই ব্যক্তি রুদ্র কিনা। পরের দিন লাবণ্য আর রোহিতকে সঙ্গে করে সংশোধনাগারে দেখা করতে যায় রুদ্রর সঙ্গে। সংশোধনগরে রুদ্রর সেলের সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই দেখে পেছন ফিরে শুয়ে আছে সে। ফুলকির সন্দেহ আরও জোরালো হয়, সে ভাবতে থাকে রুদ্র হয়তো পালিয়ে গেছে। ফুলকি কি সত্যিটা জানতে পারবে? জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।