জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রিলিফ ক্যাম্পে পৌঁছে পারুল-গোপালের খোঁজ করতে থাকেন তাঁদের মা। সেখানকার লোকেরা জানায় পারুলরা হাসপাতালে চিকিৎাধীন আছে। বলতে না বলতেই পারুল আর গোপালকে নিয়ে রায়ান-রুক্মিণী সেখানে উপস্থিত হয়।
তাঁদের দেখে সবাই খুব খুশি হয়, পারুলকে ক্যাম্পের সদস্যরা সাধুবাদ জানায়। তারা বলে, পারুল না থাকলে বাকি দুটি গ্রামের মতো ন্যাড়া-গোয়ালও শ্মশান হয়ে যেত। এদিকে পারুল তাদেরকে জানতে চায় যে বি’স্ফো’রণের পেছনে কার হাত আছে। তারা নাম না বলতে পারলেও বলে, যে তিনি ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে গ্রামে আসবেন।

পারুল জানিয়ে দেয়, ক্ষতিপূরণের টাকা তারা নেবে না বরং কারখানা বন্ধ করতে হবে এটাই তাদের দাবি। কিন্তু পারুলকে কেউ সমর্থন করে না, সবাই টাকার লোভে পারুলকে দুষতে থাকে। পারুল বোঝায়, যে এই থাকা নেওয়া মনে অপরাধের অংশ হওয়া আর নিজেকে বিক্রি করে দেওয়া। তাও কোনও লাভ হয় না। পারুলের মাথায় একটা বুদ্ধি আসে।
পারুল বলে, এই পরিস্থিতিতে যদি কেউ গ্রামের লোকেদের একসঙ্গে করে প্রতিবাদে সামিল করতে পারে, তিনি এখানের ভূমিপুত্র আশুতোষ বসু। দাদুকে পারুল এরপর ফোন করে সবটা বলে। পরবর্তীতে দেখা যায়, গ্রামে বিচারসভা বসেছে। শিরীনের মা বলেন, যারা বেঁচে আছে তাদের দুই লক্ষ টাকা আর যারা মারা গেছে তাদের পাঁচ লক্ষ টাকা দেবেন।
আরও পড়ুনঃ টেলিপাড়ার নতুন ভিলেন! ‘নিম ফুলের মধু’-এর খলনায়িকা এবার ‘লক্ষ্মী ঝাঁপি’তে! ফের পর্দা কাঁপাতে আসছেন তনয়া! ইশার পর এবার কী রূপে?
সবাই তাড়াতাড়ি টাকা নিয়ে চলে যায়, এমন সময় দাদু সেখানে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, তিনি থাকতে কে ওই টাকায় হাত দেয় তিনিও দেখবেন। সবাই নিজের ভুল বুঝতে পেরে টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে যায় আর কারখানা বন্ধের আন্দোলনে সামিল হয়। পরদিন গ্রামে রথ উদযাপন চলছে, এমন সময় এক ব্যক্তি পারুলকে গুলি করে।