জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

টেলিপাড়ার নতুন ভিলেন! ‘নিম ফুলের মধু’-এর খলনায়িকা এবার ‘লক্ষ্মী ঝাঁপি’তে! ফের পর্দা কাঁপাতে আসছেন তনয়া! ইশার পর এবার কী রূপে?

স্টার জলসা এবার নিয়ে আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘লক্ষ্মী ঝাঁপি’ (Lokkhi Jhanpi)। নয়া এই কাহিনিতে প্রথম বার জুটি বাঁধতে চলেছেন ‘সৌরভ চক্রবর্তী’ (Sourav Chakraborty) এবং ‘শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়’ (Suvosmita Mukherjee)। তাঁদের নিয়ে দর্শকের কৌতূহল স্বাভাবিক ভাবেই তুঙ্গে। নায়ক-নায়িকার প্রেম, দ্বন্দ্ব আর টানাপোড়েনের এই গল্পে কিন্তু শুরু থেকেই একটা বড় প্রশ্ন ঘুরছে— খলচরিত্র কে?

অবশেষে উত্তর মিলল প্রশ্নের। শোনা যাচ্ছে, সম্ভাব্য ভিলেনের ভূমিকায় দেখা যাবে ‘তনয়া মুখার্জী’কে (Tanaya Mukherjee)। ‘নিম ফুলের মধু’তে চতুর ইশা হয়েই ঝড় তুলেছিলেন তিনি, সৃজন-পর্ণার জীবনে বাঁধা হয়ে তাঁর উপস্থিতি তখন টিআরপি-র অন্যতম টকিং পয়েন্ট ছিল। তাই নতুন ধারাবাহিকে তাঁর প্রবেশ মানেই বাড়তি উত্তেজনা নিশ্চিত।

নিম ফুলে ঝড় তুলে ফের নতুন ধারাবাহিকে পর্দা কাঁপাতে চলেছেন তনয়া, এমনটাই বিশ্বাস ধারাবাহিকপ্রেমীদের। যদিও ‘লক্ষ্মী ঝাঁপি’তে তাঁর চরিত্র একেবারে নিখাদ অন্ধকার হবে, নাকি ধূসর ছায়ায় মোড়া— তা এখনও গোপন। প্রোডাকশন হাউসও ইঙ্গিত দিচ্ছে, গল্প এগোতে থাকলেই চরিত্রের আসল রূপ ধরা দেবে।

ইতিমধ্যেই সমাজ মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া প্রোমোতে দেখা গিয়েছে, নায়ক-নায়িকার সুখের পথে অদ্ভুত সব বাধা এসে দাঁড়াচ্ছে। সেখানে এক ক্ষণিক ঝলকে ধরা পড়েছে তনয়ার চরিত্র, ঠান্ডা হাসি আর চোরা দৃষ্টিতে। সেই কয়েক সেকেন্ডই যথেষ্ট ছিল জল্পনা উসকে দিতে— তিনি কি হতে চলেছেন ‘ঝাঁপি’র জীবনের অভিশাপ?

আরও পড়ুনঃ বাংলা ধারাবাহিকে ফের অ’শ্লী’লতার ছোঁয়া! ‘তুই আমার হিরো’র বিতর্কিত দৃশ্য নিয়ে ক্ষোভে দর্শক! প্রশ্ন উঠছে, ‘কোথায় গিয়ে নেমেছে বাংলা ধারাবাহিকের মান?’ ‘এগুলোই কি পারিবারিক বিনোদনের সংজ্ঞা?’

একদিকে পছন্দের জুটি, অন্যদিকে দাপুটে খলনায়িকাকে নিয়ে দর্শকের প্রত্যাশা দ্বিগুণ। সৌরভ-শুভস্মিতার নতুন কেমিস্ট্রি, অন্যদিকে তনয়ার সম্ভাব্য ষড়যন্ত্র— ‘লক্ষ্মী ঝাঁপি’ যে নিত্যনতুন মোড় নিয়ে আসবে, তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার, ‘নিম ফুলে’ ভর্ৎসনা কুড়নো ইশার পর তনয়া কী নতুন রূপে টেলিপাড়ায় ঝড় তুলে টিয়ারপিতে কি প্রভাব ফেলে।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।