জি বাংলার ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় দাদু রেগে আগুন হয়ে আছেন, পারুল আর রায়ানের তাঁর কথা না শুনে আন্দোলনে যোগ দেওয়া থেকে শুরু করে বসু বাড়ির প্রত্যেকে নাকি আর তাঁকে শ্রদ্ধা করে না, এমন অভিযোগ আনতে থাকেন তিনি। পরিস্থিতি সামলাতে ঠাকুমা দাদুকে রায়ান আর পারুলের খবরের কাগজে যে ছবি বেরিয়েছিল সেটা দেখান। ঠাকুমা বললেন, আসল জায়গাতেই দাদু জিতে বসে আছেন।
দাদু কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঠাকুমা বলেন, আন্দোলনের মঞ্চ থেকে প্রেম জন্ম নিয়েছে পারুল-রায়ানের মনে। এমনকি রায়ান প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছে পারুলকে, সেকথাও দাদুকে জানান তিনি। ঠাকুমা বলেন, অতীতে ওদের দুজনের বিয়ে নিয়ে অনেকের আপত্তি থাকলেও, এটা যে কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল, তা এখন হারে হারে টের পাচ্ছে সবাই। দাদুর রাগ কিছুটা কমে এইসব যুক্তি শুনে।

এদিকে পারুলের থেকে বৌদিমণি আর রাকা, রায়ানের প্রস্তাবের সমন্ধে সবটা জানতে পেরে যায়। পারুলকে প্রথমে তাঁরা প্রশ্ন করে, এই যে রায়ানকে একদিনের সময় দেওয়া হলো, এতে যদি রায়ান নিজের মত পাল্টে ফেলে তাহলে কি হবে? পারুলের মুখে দুশ্চিন্তার ভাঁজ লক্ষ্য করতেই দুজনে তাঁকে আশ্বাস দেয় যে রায়ানের চোখে যে ভালোবাসা দেখেছে তাঁরা, তাতে রায়ান নিজের মত পাল্টাবে না। উল্টোদিকে রায়ানও পারুলের কথা ভেবে দ্বিধায় পরে যায়।
রায়ানেরও মনে হতে থাকে যে পারুল যদি তাঁর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় তাহলে কি হবে। এদিকে পরদিন সকাল হতেই পারুল যায় রায়ানকে ঘুম থেকে তুলতে। ঘুমন্ত অবস্থায় রায়ানের মুখের দিকে সে মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকে। অন্যদিকে রায়ানও পারুলকে নিয়েই স্বপ্ন দেখছিল, পারুল ঘুম ভাঙিয়ে দিয়ে বলে আজ থেকে তাঁর নতুন জীবন শুরু, পারুলকে ভালোবাসলে আদর্শ ছেলে হতে হবে তাঁকে।
আরও পড়ুনঃ মাঝসমুদ্রে ফুলকিকে ডুবিয়ে মা’রার ছক! বন্দুক ছিনিয়ে বড় রানীকে নিয়ে পালাল সে! বড় রানীকে অপ’হর’ণের অভিযোগে গ্রেফতার রোহিত! ধানুর পাল্টা চালে উল্টে গেল ছোট রানীর ফন্দি!
পারুল বলে, আজ থেকে রোজ সকালে উঠে পড়াশোনা আর শরীরচর্চা করতে হবে, পারুল কথা দেয় রায়ানের জীবন একেবারে পাল্টে দেবে। এরপর দুজনের মধ্যে মিষ্টি প্রেমের দৃশ্য দেখা যায়। এরপর দাদু পারুলকে বলেন, রয়ানের এখন তাঁকেই সবথেকে বেশি প্রয়োজন, ঠিক আসবে সে। এর অন্যদিকে রায়ানের মা অনশনে যান, রায়ান যতক্ষণ না পারুলকে প্রত্যাখ্যান করছে ততক্ষণ। এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।