জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ (Dance Bangla Dance) মানেই ‘অঙ্কুশ হাজরা’র (Ankush Hazra) টুকটাক দুষ্টুমি আর হাসির মুহূর্ত। অভিনেত্রী তথা সহ-বিচারকদের সঙ্গে তাঁর মজার খুনসুটি দর্শকদের কাছে বরাবরই জনপ্রিয়। আগের সিজনে পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঠাট্টা-মশকরা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু এই হাস্যরসের আড়ালেই রয়েছে এক নিবেদিত প্রেমিক, যিনি ঐন্দ্রিলা (Oindrila Sen) অন্তঃপ্রাণ! যে কিনা হাজার ব্যস্ততা সামলেও প্রিয়জনের কথা ভুলে যান না। সম্প্রতি ‘রক্তবীজ ২’-এর শুটিং সেরে থাইল্যান্ড থেকে ফিরেই এই আবেগের কথাই ভাগ করে নিলেন অভিনেতা।
থাইল্যান্ডের রোদে গানের শুটিং করতে করতে পুরনো দিনের স্মৃতি যেন চোখের সামনে ফিরে এসেছে অঙ্কুশের। এককালে টানা পঞ্চাশ দিনের বিদেশ সফরে গিয়ে পুরো টিম মিলে যেভাবে কাজ করতেন, সেই অভিজ্ঞতাই যেন ফিরল এই ছবির মাধ্যমে। অঙ্কুশ জানান, “এখন তো খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হয়ে যায়, মাত্র ১৫ দিনেই একটা প্রজেক্ট শেষ। তাতে সিনেমা করার মজাটাই যেন হারিয়ে যাচ্ছে।” কিন্তু ‘রক্তবীজ ২’-এর সেটে সেই পুরনো ফিলটা আবার ফিরে পেয়েছেন তিনি।
এই ছবিতে অঙ্কুশ অভিনয় করছেন খলনায়কের চরিত্রে, নাম ‘মুনীর আলম’। এই চরিত্রের গুরুত্ব নিয়ে অভিনেতা নিজেও যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত। পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখার্জীর আশ্বাসে কোনও প্রশ্ন না করেই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। চরিত্রে যেমন আছে রহস্য, তেমনই অভিনয়ের পরিসরও অনেকটা। পাশাপাশি ছবির গানে দেখা যাবে তাঁকে কৌশানী মুখার্জীর সঙ্গে। অনেক দিন পর বাংলা সিনেমার গান বিদেশের লোকেশনে শুট হল, এটাও একটা আলাদা তৃপ্তি দিচ্ছে তাঁকে।
শুটিং শেষ হলেও থেমে নেই অঙ্কুশের থাইল্যান্ড ডায়েরি। স্থানীয় খাবার, বিশেষ করে ডাবের জল আর গ্রিন থাই কারির স্বাদ এখনো যেন মুখে লেগে রয়েছে। ‘এই বিশেষ কারি খেতে শিখিয়েছে শুভশ্রী’, জানিয়ে দিলেন তিনি। এছাড়াও দেশের বাইরে গিয়েই অবশ্য নিজের জন্য নয়, বরং প্রেমিকা ঐন্দ্রিলার জন্যই করেছেন বেশি শপিং। জুতো থেকে শুরু করে মানানসই পোশাক, মিউজিক সিস্টেম, সবই আছে তালিকায়! ঐন্দ্রিলার পছন্দের কথা ভেবে প্রতি মুহূর্তেই চেষ্টা করেছেন তাঁর মুখে হাসি ফোটাতে।
আরও পড়ুনঃ দাদুর রাগ গলল পারুল-রায়ানের প্রেমে! রায়ানকে আদর্শ করতে চলেছে পারুল! প্রেমে পড়েই নিয়মে বাঁধা জীবনের শুরু! ‘পরিণীতা’তে টানটান উত্তেজনা!
মজার ছলে বলেছেন, প্রেমিকার জন্যই শপিং করতে গিয়ে পকেট ফুটো হয়ে গিয়েছে তাঁর! তবে এত ব্যস্ততা, রোদ্দুর আর ত্বকের কালচে হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও মনের আনন্দে ভরপুর অঙ্কুশ। নিজেই বলেন, “বিদেশ থেকে ফিরলেই ত্বকের যত্ন নিতে হয়, কালো হয়ে যাই কিন্তু ঐন্দ্রিলা চিনে ফেলে ঠিকই!” প্রেম আর পেশার এই মিশ্রণে অঙ্কুশের জীবন এখন পরিপূর্ণ। আজ তিনি শুধুই এক রিয়্যালিটি শো-এর ‘মজার মানুষ’ নন, বরং একজন আদর্শ প্রেমিকও বটে, যাঁর জীবনে প্রেম-পরিশ্রম দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ।