জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রায়চৌধুরী বাড়িতে এসে বড় রানীর খোঁজ শুরু করেন ছোট রানী। লাবণ্য জানায়, ফুলকি হয়তো রানী মাকে নিয়ে ঘুরতে গেছে, অল্প সময়ের মধ্যেই ফিরে আসবে। কিন্তু কোনও কিছুতেই মানতে চান না ছোট রানী, উল্টে তিনি রোহিত ফুলকিকে দোষারোপ করেন বড় রানীকে ভুল বুঝিয়ে অ’পহ’রণ করার।
রায়চৌধুরী বাড়ির সবাই ছোট রানীকে বোঝাতে থাকেন, যে ফুলকি বড় রানীর কথা মতোই নিয়ে এসেছে এখানে। বড় রানীর কোনও ক্ষতি হয়, এমন কাজ সে করবে না। ছোট রানী মনে মনে জানেন যে ফুলকি আর বড় রানী আসলেই কোথায় আছেন, তাও মুখে তিনি খুব দুশ্চিন্তা দেখেন। ছোট রানী বলেন, আগের রাতে ফুলকি-রোহিত যেভাবে মিথ্যে অভিযোগ এনে অপমান করেছে, ফুলকির সমস্ত অসভ্যতা তিনি বলে ক্ষমা করে দিয়েছেন।

কিন্তু অন্য কেউ হলে সেই রাগ গিয়ে পড়ত ধানুর উপর। রোহিতকে সবাই জানতে চায় ঠিক কি ঘটেছিল আগের দিন রাজবাড়িতে, যে ফুলকি রানীকে সঙ্গে করে নিয়ে এলো? রোহিত কিছু বলে না, শুধু এইটুকু জানায় যে রাজবাড়িতে অনেক অপরাধী লুকিয়ে আছে। এদিকে অধৈর্য হয়ে ছোট রানী পুলিশ ডেকে পাঠান, পুলিশ এলে তিনি রোহিতকে বড় রানীর অ’পহ’রণের সঙ্গে যুক্ত বলে গ্রেপ্তার করিয়ে দেয়।
মনে মনে তিনি বলেন, রোহিতকে যেভাবেই হোক আটকে দেওয়া গেল ফুলকিকে খোঁজার থেকে। এবার ফুলকিকে মাঝ সমুদ্রে নিয়ে গিয়ে ডুবিয়ে মারতে পারলেই সব শেষ, তারপর বড় রানীকে উদ্ধার করে এনে বলবেন দুর্ঘটনায় এমন হয়েছে। এদিকে রোহিতকে পুলিশ একই প্রশ্ন বারবার করে উত্তপ্ত করতে থাকে, রোহিত রেগে গিয়ে হাত তুলতে গেলে তাঁকে লকাপে ঢোকাতে যায় পুলিশ। এমন সময় ধানু বেলের অর্ডার নিয়ে হাজির হয়।
আরও পড়ুনঃ অতীতের সমস্ত ভুল ভুলে আবার একসঙ্গে! ফের এক ছাতার তলায় সুদীপ-পৃথা
তাঁকে আবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজবাড়ির উকিল নোটিশ দেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই ধানুকে দমাতে পড়েন না কেউই, রোহিতের বেলটা করিয়েই দেয় সে। আদিত্য আরও রেগে যায় ধানুর এই পদক্ষেপে। এদিকে ফুলকির জ্ঞান ফিরতেই, অপ’হরণ’কারীদের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে কোনও রকমে বড় রানীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।