জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

একদিকে মালতীর আ’ত্মহ’ত্যা’র চেষ্টা! চঞ্চলকে একের পর এক চড় রুক্মিণীর! “তুই আমার নন্দিনী”— রায়ানের মুখে প্রেমের স্বীকারোক্তি! রাগে ফুঁসছে তূর্য! ‘পরিণীতাতে ধুন্ধুমার পর্ব!

জি বাংলার ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’ (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রায়ান রুক্মিণীকে ফোন করে নাটকের কস্টিউম ডিজাইন জানতে, রুক্মিণী বলে সেও আগে রক্তকরবী নাটকে অংশ নিয়েছে তাই তাঁর কাছে আছে। রায়ান কস্টিউম লেআউট দেখে রুক্মিণীকে পরামর্শ দেয়, যে তাঁর এতো ভালো প্রতিভা সেটাকে কাজে লাগানো দরকার। রুক্মিণী বলে সে এবার শুধু নিজের জন্যই ভাববে আর প্রতিভাকেও কাজে লাগবে।

ঠিক এমন সময়ে মালতীর শাশুড়ি এসে বলেন যে চঞ্চল আর মালতীর মধ্যে অনেক অশান্তি হয়েছে আর তার পর থেকে মালতী ঘরের দরজা খুলছে না। উদ্বিগ্ন হয়ে গিয়ে গোপাল দরজা ভাঙার পর দেখে মালতী গলা,য় দড়ি দিয়ে আ,ত্ম,হত্যা’র চেষ্টা করছে। কোনও রকমে তাঁকে নিচে নামিয়ে এনে দেখা যায়, এখনও আশা বাকি। আর দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মালতী সুস্থ হয়ে ওঠে।

Parineeta, Zee Bangla, Bangla Serial, Uday Pratap Singh, Ishani Chatterjee, Surabhi Mallick, Parul, Rayan, Shireen, New Episode, পরিণীতা, জি বাংলা, বাংলা সিরিয়াল, উদয় প্রতাপ সিংহ, ঈশানী চ্যাটার্জী, সুরভি মল্লিক, শিরীন, নতুন পর্ব

ডাক্তার জানায় পুলিশ আসছে আর তাঁকে স্টেটমেন্ট দিতে হবে। রুক্মিণী মালতীকে মনে সাহস যোগায় যে লড়াই তাঁকে লড়তেই হবে, পালিয়ে গেলে চলবে না। এরপর হাসপাতালে এসে চঞ্চল এবার অশান্তি শুরু করে দেয়। রুক্মিণীকে অনেক কটু কথা শোনাতে থাকে সে। গোপাল রেগে তাঁকে মারতে গেলে, রুক্মিণী আটকে দেয় আর নিজেই একের পর এক সপাটে চড় মেরে চঞ্চলকে বুঝিয়ে দেয় তাঁর আসল জায়গা।

রুক্মিণী বলে, “আমি বসু বাড়ির মেয়ে, চক্রবর্ত্তী বাড়ির বউ, তাই আমার সাথে লাগতে আসলে ফল ভালো হবে না।” অন্যদিকে ইউনিভার্সিটিতে জোর কদমে নাটকের প্রস্তুতি চলছে। কখনো হতে হাত বা চোখে চোখ, রায়ান-পারুলের সস্পর্ক আরও গাঢ় হচ্ছে। আর এসব দেখে শিরীনের রাগ চরমে ওঠে। সবাইকে হাউস পার্টির লোভ দেখিয়ে নাটক থেকে দূরে নিয়ে যায় সে।

এদিকে সবাইকে রায়ান মঞ্চ সজ্জার দায়িত্ব দিলে কেউ সেটা নিতে চায়না, রায়ান চিন্তায় পড়ে যায় যে এক রাতের মধ্যে কি করে সব হবে। পারুল দায়িত্ব নেয়, যে সে এবং তাঁর বন্ধুরা মিলে সবটা করে দেবে। রায়ান চলে যেতেই, তূর্য সেখানে হাজির হয়। লুকিয়ে লুকিয়ে পারুলকে দেখে সে। পারুলের নজরে আসতেই তূর্য বলে নাটক হচ্ছে আর তাতে পারুল অভিনয় করছে তাই সে দেখতে এসেছে।নাটকের কথা উঠতেই পারুল রায়ানের প্রশংসা শুরু করে।

তূর্য রাগে ফেটে পড়ে এতো প্রশংসা শুনে। নিজের মনে মনে সে বলে রায়ানকে সরাতেই হবে, তা নাহলে পারুল কখনই আমার ভালবাসা বুঝবে না। পরদিন দেখা যায় সবাই নাটকের জন্য তৈরি কিন্তু পারুলকে না দেখে রায়ান খুঁজতে গিয়ে দেখতে পায়, পারুল এখনও তৈরি হয়নি। রায়ান বলে, “তুই আমার নন্দিনী, তোকে আমি তৈরি করে দিচ্ছি ” তূর্য এইসব আড়াল দিয়ে শুনে বলে, “তুমি নন্দিনী হলে আমি তোমার কিশোর, রায়ানের রক্ত দিয়েই আজ আমাদের ভালোবাসা লেখা হবে।”

Piya Chanda