জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

দেব থেকে অঙ্কুশ, এমনকি প্রতীক অভিনেত্রীর এক ছোঁয়াতেই হয়েছেন সুপারস্টার! এক চড়েই নবাগতদের ভাগ্য ফেরান মৌসুমী সাহা! জানেন এর পেছনের রহস্য?

টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রির একজন সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় মুখ অভিনেত্রী ‘মৌসুমী সাহা’ (Mousumi Saha) । বাংলা ধারাবাহিক হোক বা বড় পর্দার, প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজেকে অভিনয়ের জগতে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। বিভিন্ন চরিত্রে সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। শুধু বাংলা নয়, একাধিক ভাষার ছবিতেও তাঁর অভিনয় দক্ষতা প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু তাঁর জীবনে রয়েছে এক অদ্ভুত সত্য, বলতে পারেন জাদু! যা শুনলে চমকে যেতে পারেন আপনিও!

এক সংবাদ মাধ্যমকে অভিনেত্রী দাবি করেন, তাঁর হাতের চড় নাকি একেবারে ভাগ্যবদলের চাবিকাঠি! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। এমনটাই একবার নিজে মুখে বলেছিলেন মৌসুমী সাহা। তাঁর কথায়, “কোনও নবাগত অভিনেতা আমার কাছ থেকে একটা চড় খেলেই ভাগ্য খুলে যায়!” এই ‘পয়া চড়’ই নাকি টলিউডের অনেক বড় বড় শিল্পী তৈরি করে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন, কে জানেন? বাংলার সুপারস্টার দেব।

Mousumi Saha, bangla serial, bangla cinema, মৌসুমী সাহা, বাংলা সিরিয়াল, বাংলা সিনেমা,

পুরনো স্মৃতি হাতরে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘প্রেমের কাহিনি’ ছবির শুটিং চলাকালীন এক চড় মারার দৃশ্যে দেব এক্সপ্রেশন ঠিকমতো দিতে পারছিলেন না। তখন পরিচালক মৌসুমীকে ইশারায় বলেন আসল চড় মারতে। মৌসুমী সপাটে একটা চড় কষান দেবকে, আর তাতেই নাকি সিনটা একেবারে পারফেক্ট হয়ে যায়! গ্লিসারিনেরও প্রয়োজন পড়েনি। এরপর তিনি দেবকে ঠাট্টার ছলে বলেন, “নতুনদের আমি চড় মারলে তারা স্টার হয়ে যায়। তুইও হবিই।”

তবে শুধু দেব-ই নয়, অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাও এই ‘পয়া চড়’র বিষয়ে জানতেন বলে জানান মৌসুমী। ‘ইডিয়ট’ ছবির শুটিংয়ের সময় অঙ্কুশ আগেভাগেই তাঁকে বলে দেন, “দিদি, আমাকে কিন্তু সত্যি চড় মারবেন।” শুধু তাই নয়, ‘খোকাবাবু’ ধারাবাহিকের প্রতীক সেনও একাধিকবার অভিনেত্রীর হাতে চড় খেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। আজ ঘটনাচক্রে প্রতীকও ছোটপর্দার অন্যতম পরিচিত অভিনেতা।

এই সব কাহিনি কতটা সত্যি সে বিষয় জানা নেই, তবে অভিনয় জীবনের বাইরে মৌসুমী সাহার জীবনে এটা যে একটা ‘মিথ’ তৈরি করেছে, তা বলাই বাহুল্য। যদিও তিনি এটিকে নিতান্তই ‘কোয়েন্সিডেন্স’ মনে করেন, কিন্তু তাঁর হাতের চড় নিয়ে টলিউডে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা এখন অনেকের মুখে মুখে ফিরছে। ইন্ডাস্ট্রির গভীরে এমন গল্প প্রায়শই শোনা যায়, আর সেটাই কখনও কখনও গল্প হয়ে রয়ে যায় ইন্ডাস্ট্রির অলিগলিতেই।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page