জি বাংলার ধারাবাহিক ‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় রোহিত আর ফুলকি অনেকদিন পর একে অপরের সঙ্গে একান্ত সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছে। ফুলকির মুখে পাচার চক্রের কথা শুনে, রোহিত রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। রোহিত বলে, “যে রাজমহল এলাকাকে এতোটা সুন্দর মনে হয়েছিল, সেটাই যে এতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে ভাবিনি।” এরপর ধানুর ভবিষ্যতের কথা ভেবে রোহিত খুব চিন্তিত হয়ে পড়ে।
ফুলকি রোহিতকে বোঝায় যে রাজবাড়ির লোকেরা খারাপ নয়, আর আদিত্যও যে ধানুকে অনেক ভালোবাসে। রোহিতকে আশ্বস্ত করতে ফুলকি বলে, সকালে গিয়ে মন্দিরে পুজো দিয়ে আসবে তাঁরা। কিন্তু ফুলকির মনে প্রশ্ন জাগে, এতো বড় একটা পাচার চক্রের কথা রানী মা কি করে জানেন না? ফুলকি চায় রানী মাকে সবটা বলতে, কিন্তু রোহিত বাঁধা দেয় ধানুর কথা ভেবে। পরদিন সকালে কালী মন্দিরে গিয়ে পুজো দেয় ফুলকি আর রোহিত।

মন্দির থেকে বেরোনোর সময় শিল্পীর সঙ্গে তাদের দেখা হয়। শিল্পী অনেক করে ক্ষমা চায়, সালিনীর সাথে ষড়যন্ত্রে হাত মিলিয়ে দিল্লিতে অনেক ক্ষতি করেছে ফুলকির সে। এর জন্য তাঁর কাজ পর্যন্ত চলে গেছে। ফুলকির কাছে সে একটা কাজের খোঁজে এসেছে। ফুলকি রোহিতকে বলে সুপার স্টোরে শিল্পীর একটা কাজ জোগাড় করে দেয়। এরপর বাড়িতে ফিরতেই তাঁরা দেখে গোটা বাড়িতে দুঃখের আবহাওয়া, ধানুর বিদায় পর্বে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়ে।
অন্যদিকে রানী মা, তাঁর স্বামীকে ফোন করে বলে বৌমাকে নিয়ে তাড়াতাড়ি আসতে। যেন শুভ সময়ের মধ্যে সে বাড়িতে পা রাখে, কারণ সে এখন রাজপরিবারের বড় পুত্রবধূ। সেই সূত্রে তাঁকে এই পরিবারের প্রতিটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। রানীকে তাঁর স্বামী বলেন যে একবার ধানু ওই বাড়িতে ঢুকে যাক, তারপর রানীই যেন সবটা শিখিয়ে নেয়। এরপর কনকাঞ্জলি দিতে গিয়ে ধানুর কান্না দেখে ফুলকির খুব খারাপ লাগে। ফুলকি বলে, “ধানু দিদি চোখে জলে না! হাসতে হাসতে আর নাচতে নাচতেই ওই বাড়িতে যাবে।”
বাজনা এনে নাচগান করে ধানুর মন খানিকটা হালকা করে তুলতে সফল হয়ে সে। এবার মনে একরাশ আশা আর সবার আশীর্বাদ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির দিকে যাত্রা করে ধানু, কিন্তু সে শর্ত রাখে যে ফুলকিকে দুদিন তাঁর সঙ্গে গিয়ে থাকতে হবে। সবাই রাজি হয়ে গেল ফুলকিও তাঁদের সঙ্গে রাজবাড়িতে প্রস্থান করে। ফুলকি যে রাজবাড়িতে আসছে, এই খবরটা ছোট কুমার রানীকে জানাতেই, মৃদু হাসির আড়ালে নতুন কোনও ছক কষতে থাকেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ অভিনেত্রী বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধ’র্ষ’ণ ও অনিচ্ছাকৃত গর্ভ”পাত! বাংলাদেশি পাবলিক ফিগার, হিরো আলমের বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ!
রানী বলেন,”এবার একবার ফুলকি শুধু রাজবাড়িতে পা রাখুক তারপর তাকে দেখে নেব। ব্যবসায় যে ক্ষতি ফুলকি করেছে তার জন্য ফুলকিকে শাস্তি পেতেই হবে।” এরপর মহা সমারোহে ধুমধাম করে ধানুর গৃহপ্রবেশ হয় রাজবাড়িতে। সোনার চামচে করে মিষ্টি খাওয়ানো থেকে শুরু করে সোনার কুলো দিয়ে বরণ। কিন্তু যেই না দুধে আলতায় পা দিতে যাবে, ওমনি রানী মা তাঁকে বাধা দেয়, কিন্তু কেন? ফুলকির সামনে আসতে চলেছে কোন বিপদ?জানতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে।