জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, মৃ’ত অবস্থাতেও মায়ের মুখটা দেখতে পায় না পারুল। দুঃখ করে সে রায়ানকে বলে, শেষ দেখাটাই স্মৃতিতে রেখে দেবে এমন ভাগ্যও তার নেই। এরপর শ্মশানে নিয়ে গিয়ে, পারুলকে তার মায়ের মুখাগ্নি করতে বলা হয়।
পারুল যতবার আগুনটা চিতার কাছে নিয়ে যায়, একটা অদৃশ্য শক্তি যেন সেই আগুনটা বারবার নিভিয়ে দেয়। যতবার আগুনটা লাগানো হয়, মশাল ততবার নিভে যাওয়াতে– পুরোহিত বলেন এই দেহ পারুলের মায়ের নয়! তাঁর কথা, এই গ্রামের একটা বিশ্বাস আছে যে আত্মীয়র হাতে ছাড়া মৃ’তরা আগুন নেয় না।

পারুল কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না যে, এটা তার মা নয়। এরপর পুরোহিত নিজের আগুন লাগিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, সবটাই সত্যি কথা। পারুল কান্নায় ভেঙে পড়ে, ওদিকে দেখা যায় শিরীনের বাবার বন্ধু পুলিশের সঙ্গে কথা বলে, পারুলের মায়ের এ’নকাউ’ন্টার আটকেছেন। তিনি খুব নিশ্চিন্ত যে, পারুলের মা বেঁচে আছে ভালোভাবেই।
দেখানো হয়, যখন তিনি খবর পান এমন কিছু হতে চলেছে, সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশকে ফোন করে জানান যেন পারুলের মায়ের কোনও ক্ষতি না হয়। তিনি পুলিশকে বলেন, একসময় তার প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন পারুলের মা তাই আর তিনি সেই প্রতিদান দেবেন। এদিকে জঙ্গল থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে, পারুলকে দেখতে থাকেন তার মা।
আরও পড়ুনঃ “অপর্ণা বড্ড ন্যাকা, মীরা অনেক বেশি পরিণত!”– নেতিবাচক চরিত্র হয়েও দর্শকের প্রিয় তন্বী! অপর্ণার থেকেও কি এগিয়ে গেল মীরা? ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ আপনাদের মতে কে নিজের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে সেরা?
ইউনিভার্সিটি থেকে ফোন আসে পারুলের কাছে। উপাচার্য জানান, সামনেই ফাইনাল পরীক্ষা তার আগে যেন পারুলরা শহরে ফিরে আসে। পারুল জানায়, রায়ান ফিরলেও সে এখনই ফিরতে পারবে না। রায়ানও বলে সে পারুলের সঙ্গে থাকতে চায়। শেষে রায়ানের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে, পারুলও ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
পারুল নিজেকে আশ্বাস দিয়ে জানায়, তার মা বেঁচে আছে এটাই তার কাছে যথেষ্ট। ভাগ্যে যদি কোনদিনও থাকে, তবে নিশ্চয়ই মায়ের সঙ্গে দেখা হবে তার। রায়ানকে সাবধান করে দেয় পারুল, তার মা বেঁচে থাকার কথা যেন কেউ না জানে। বসু বাড়ি ফিরতেই রায়ানের মা থেকে শুরু করে টগর, আক্রমণ করতে শুরু করে পারুলকে। পারুল সহ্য করতে না পেরে টগর গালে দুটো থাপ্পড় বসিয়ে দেয়।
