জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুলকে লন্ডনে দেখে একেবারে অবাক হয়ে যায় রুক্মিণী। এমন উদ্বিগ্ন অবস্থায় পারুলকে দেখে রুক্মিণী ভাবতে থাকে, নিশ্চই বসু বাড়ির কারোর শরীর খারাপ হয়েছে। এক এক করে রুক্মিণী সবার নাম নিয়ে পারুলকে জানতে চায়, সবাই ঠিক আছে কি না।
পারুলও তাকে আশ্বস্ত করতে থাকে যে সবাই ঠিক আছে। অবশেষে রুক্মিণী গোপালের কিছু হয়নি তো জিজ্ঞেস করলে, পারুল চুপ করে যায়। রুক্মিণী চিন্তায় পড়ে গিয়ে বারবার পারুলকে একই কথা বলতে থাকে। অবশেষে পারুল বলেই ফেলে যে, রুক্মিণী ডিভোর্স পেপারে সই করে আসায় আবার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে গোপালের। এর খবর পেয়ে রুক্মিণী ভেঙে পড়ে।
রুক্মিণী জানায় যে জোড় করে সইটা করানো হয়েছে, নাহলে তাকে লন্ডনে আসতে দিত না। বিদেশে যাওয়ার সুযোগ বারবার হাতছাড়া করতে পারবে না বলে, সইটা করে নিয়েছিল। পারুল ভরসা দেয়, এখনও বিয়েটা হয়ে যায়নি গোপালের তাই রুক্মিণী যদি চায় তো নিজে দেশে গিয়ে বিয়েটা আটকাতে পারে। এক কথায় রাজি হয়ে যায় রুক্মিণী।
একবার বিদেশে পা রাখতেই সে বুঝেছে, গোপালকে কতটা ভালোবাসে। তাই রুক্মিণী জানায় গোপালকে ছাড়া বাঁচবে না। অন্যদিকে গোপাল খালি ভাবছে এখনও সে রুক্মিণীকে ঠকাচ্ছে অন্য বিয়ে করে। রুক্মিণীকে ফোন করতে গেলে, মা আর বিন ভাদু ফোনটা কেড়ে নেয়। জোড় করে বিয়ে করতে নিয়ে যায় চন্দননগর।
সারা বসু বাড়ি চিন্তায় আছে পারুলকে নিয়ে। রায়ান ভাবছে একা বিদেশে গিয়ে কোনও বিপদে পড়ল না তো সে! হঠাৎ ফোন আসে পারুলের, সে জানায় রুক্মিণীকে সঙ্গে নিয়ে গোপালের বিয়ে আটকাতে যাচ্ছে। রুক্মিণী কি বাধ্য হয়ে এসেছে না স্বইচ্ছায় জানতে চায় রায়ান। রুক্মিণী নিজের মুখে স্বীকার করে, যে গোপালকে সে ভালোবাসে।
আরও পড়ুনঃ স্ত্রী অর্পিতা নন! জানেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনের দুই প্রিয় নারীর নাম কারা?
রায়ানও বলে, যখন রুক্মিণী গোপালকে বিয়ে করতে চাইনি তখনও তার সঙ্গে ছিল আর এখন যখন বিয়েটা করতে চাইছে, তখনও সঙ্গে থাকবে। পারুলের কাছ থেকে গাড়ির নম্বর নিয়ে রায়ান আর মল্লার ওদের সাহায্য করতে ছুটে যায়। এদিকে হেরে যাওয়ার ভয়ে, লোক ভাড়া করে রায়ানের মা মাঝ রাস্তায় এমন বিপত্তি তৈরি করেন যে গাড়িটা খারাপ হয়ে যায় পারুলদের!