জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়,পারুল ফোন করলে রায়ান জানতে চায় যে রুক্মিণী নিজের ইচ্ছেতেই এসেছে নাকি জোড় করা হয়েছে। রুক্মিণীর স্বীকারোক্তিতে সবাই অবাক হয়ে যায়। সে জানায় গোপালকে ভালোবাসে।
রায়ানও এক কথায় রাজি হয়ে যায় রুক্মিণীর সাহায্য করতে, গোপালের বিয়েটা আটকাতে। রায়ান আর মল্লার বেরিয়ে যেতেই, রায়ানের মা ভাবতে থাকেন কি করবেন পারুলকে আটকাতে। তখন টগর বুদ্ধি দেয়, বিয়ের লগ্নটা যদি এগিয়ে আনা হয় তাহলে পারুল আর কিচ্ছু করতে পারবে না।

গোপালের বিয়েটাই হয়ে গেলে রুক্মিণী গিয়েও বা কী করবে! তাকে সেই বিদেশেই ফিরে যেতে হবে। রায়ানের মা তাই গোপালের মাকে ফোন করে বিয়ের লগ্ন এগিয়ে আনতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন ইতিমধ্যেই পারুল রুক্মিণীকে নিয়ে দেশে ফিরেছে। বিয়েটাই যদি না হয় তাহলে লগ্ন রেখে কি হবে।
এরপর পারুলদের আটকাতে শিরীনের সঙ্গে হাত মেলান রায়ানের মা। পারুলদের গাড়ির নাম্বার দিয়ে কিছু লোক ভাড়া করে শিরীন, যাতে সকাল পর্যন্ত গাড়িটাকে আটকে দেওয়া যায় মাঝে পথেই। রায়ান শুনে নেয় লুকিয়ে লুকিয়ে। তারপর মাঝপথেই পারুলদের নিয়ে অন্য গাড়িতে চলে যায়।
আরও পড়ুনঃ ষ’ড়যন্ত্রে জোর করে ডিভোর্স, কিন্তু প্রেমে হার মানল চক্রান্তকে! গোপালের বিয়ে আটকাতে দেশে ফিরছে রুক্মিণী! বিয়ের মাঝপথে রায়ান-পারুলের পাল্টা চাল, শেষে বিয়ে হল গোপাল-রুক্মিণীর!
শিরীনের ভাড়া করা লোকরা ওই গাড়িটা আটক করে পারুণদের খুঁজে পায় না। রায়ান এদিকে বলে, তার দিদির ভালোবাসকে জিতানোর জন্য সে মায়ের বিপক্ষে যেতেও রাজি। গোপাল ঐদিকে বিয়েতে পৌঁছে গেছে, রানুকে ফোন করে পারুল বিয়ের লগ্ন জেনে নেয়। কিন্তু পরক্ষণেই গোপালের মায়ের কথা অনুযায়ী বিয়ের লগ্ন এগিয়ে আনা হয়।
অভিনন্দা গোপালের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে খুব উৎসাহী। রুক্মিণী আবার দেশে ফিরছে শুনে সে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। জোর করে বিয়ের লগ্ন এগিয়ে আনে সে। রানু লুকিয়ে পারুলকে খবর দিতে গেলে শাশুড়ির কাছে ধরা পড়ে যায় এবং মার খায়। এদিকে বিয়ে শুরু হয়ে গেছে গোপালের, সিঁদুরদান বাকি, রুক্মিণী এসে মুখোমুখি দাঁড়ায় তার!