জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, আদালত থেকে বাড়ি ফিরতেই রায়ান রেগে আগুন। কিছুতেই সে পারুলকে যাঁরা এমন করে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে, তাদের রেয়াৎ করবে না। বারবার সবাইকে জিজ্ঞেস করতে থাকে রায়ান যে কে করেছে এটা, কিন্তু কেউ কিছুই বলে না। রায়ান মাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, পারুল আদালতে বড় মুখ করে বলেছে যে ওর অপরাধীকে চেনে, তাহলে ওকেই জিজ্ঞেস করা হোক ।রায়ান এরপর পারুলকে জিজ্ঞেস করতেই, পারুল জানায় দোষী তার নিজের বোন টগর।
রায়ান টগরকে গিয়ে বলে যে, টগর যদি একটা মেয়ে আর মল্লারের বউ না হতো, তাহলে রায়ান চাবকে পিঠের ছাল তুলে দিত। টগর কাঁদতে কাঁদতে বলে যে তার কোনও দোষ নেই, সবকিছু করেছে রায়ানের মা আর শিরীন। টগর বলে, সে শুধু পারুলের টাকার দরকার এই কথাটা বলেছিল। তারপর সমস্ত ফন্দি করেছে রায়ানের মা আর শিরীন মিথ্যে ভিডিও বানিয়ে দোকানের সিসিটিভি হ্যাক করে ভিডিও ঢুকিয়ে দিয়েছিল। টগর আরও বলে যে তার শাশুড়ি আর ননদ কিছু না করলেও এই চক্রান্তে লিপ্ত ছিল।

রায়ান আরও রেগে গিয়ে বলে, যখন একবার বাড়িতে পুলিশ ঢুকেছে তখন আবার আসবে আসল দোষীকে ধরতে। মা রায়ানকে বলেন যে তার বাঁধবে না, মাকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে। রায়ান জানায় তার মায়ের জন্যই স্কলারশিপ হাতছাড়া হয়ে গেছে, পারুলের সামনেও ছোট হতে হয়েছে। রায়ান রেগে গিয়ে বলে, যে পারুল একদিন সবাইকে বাঁচিয়েছে তাকেই মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে নিকৃষ্ট মনের পরিচয় দিয়েছে সবাই। শিরীন রায়ানের রাগ আরও বাড়িয়ে দিয়ে বলে, পারুল আসার পর থেকেই তাদের জীবনে সমস্যার শুরু।
রায়ান আর সহ্য করতে না পেরে শিরীনকে একটা চড় মেরে দিয়ে বলে, পারুল তার জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তিত্ব। বিরোধী শূন্য থাকলে যেমন শাসক জিততে পারে না, তেমনি রায়ানের পাশে পারুল না থাকলে সেও জীবনে কিছু করতে পারবে না। পুলিশকে ফোন করে রায়ান মামলা দায়ের করায় মা আর শিরীনের নামে। একদিকে টগর পারুলের পা ধরে ক্ষমা চাইতে থাকে, অন্যদিকে রায়ানের মা সবার কাছে কথা শুনতে থাকেন। ইতিমধ্যেই পুলিশ এসে উপস্থিত হয় বসু বাড়িতে।
আরও পড়ুনঃ “কাজের জন্য ভিক্ষে চাইতে হয়েছে, সবাই সাজানো উপরের জীবনটা দেখে ভিতরে চলে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন” অভিনয় জীবনের কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরলেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়!
রায়ানের অভিযোগের ভিত্তিতে মৌসুমী আর শিরীনকে গ্রেফতার করতে এলে পারুল জানায়, রায়ানের বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। পারুলকে ফাঁসিয়েছ তারই বোন টগর, তাই পুলিশ যেন তাকেই শুধু গ্রেফতার করে। টগর নিজেকে বাচ্চা মেয়ে বলে, ছেড়ে দেওয়ার দাবি করে। কিন্তু পারুল জানায় তাকে শাস্তি পেতেই হবে। টগরকে পুলিশ নিয়ে চলে যাচ্ছে, এমন সময় পারুল বাধা দেয়। পারুল পুলিশকে গ্রেফতার না একটু ভয় দেখিয়ে যেতে বলে টগরকে, যাতে ভবিষ্যতে এমন না করে সে।