জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’র (Parineeta) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়, পারুলের জ্ঞান ফিরতেই সে রায়ানকে অনুরোধ করে আবার আদিবাসীদের গ্রামে নিয়ে যেতে। পারুল বলে সে অনুভব করেছে, রাতে যে তার প্রাণ বাঁচিয়ে চিকিৎসা করেছে সে তারই মা। রায়ান বুঝতে পারে কিন্তু সাহস পায় না পারুলকে নিয়ে যেতে।
রায়ানের কথায়, ওখানে পারুলের জন্য যদি আরও বিপদ অপেক্ষা করে থাকে। পারুল কোনও কথাই শুনতে চায় না, সে গ্রামের প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে চায়। পারুলের জেদ দেখে রায়ান রাজি হয় এবং শিরীনের বাবাও সঙ্গে যেতে চান। ওদিকে বর্ণনা অনুযায়ী ছবি দেখে শিরীনের মায়ের পায়ের তলার মাটি সরে যায়। সে বুঝতে পারে পারুল অজান্তেই তার মায়ের কাছে আগের রাতে পৌছে গেছিল।
আর দেরি না করে, শিরীনের মা তার লোকেদের বলেন গ্রামের প্রধানকে তুলে এনে পারুলের মায়ের সম্পর্কে সবকিছু জেনে, তাকে শেষ করে দিতে হবে। সেইমতো প্রধানের বাড়ি গিয়ে তাকে অপহরণ করে শিরীনের মায়ের লোকেরা এবং প্রধানের বউকে ঘরে আটক করে রাখে। পারুলরা প্রধানের বাড়ি পৌঁছাতেই দেখে লন্ডভন্ড পরিস্থিতি, ঘরের ভেতর থেকে চিৎকারের শব্দ আসছে।
দরজা খুলতেই গ্রাম প্রধানের বউ কান্নায় ভেঙে পড়েন, তারপর পারুলরা জিজ্ঞেস করতেই তিনি সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন। পারুল বুঝতে পারে তার শত্রুরাই গ্রাম প্রধানকে অপহরণ করেছে, তাকে মেরে ফেলার আগে পারুল উদ্ধার করতে তৎপর হয় রায়ানকে নিয়ে। দেখা যায়, গভীর জঙ্গলে প্রধানকে মৃ’ত্যুর ভয় দেখিয়ে পারুলের মায়ের সম্পর্কে সবকিছু জেনে নেয় গুন্ডারা।
আরও পড়ুনঃ “অভিনয় করে পারিশ্রমিক নিইনি বছরের পর বছর!” – কেন এমন সিদ্ধান্ত কৌশিক গাঙ্গুলীর? পরিচালক জানালেন তাঁর জীবনের অজানা অধ্যায়, কিন্তু কেনই বা তিনি নিজের ছবিতে টাকা নিতে অস্বীকার করেন?
শিরীনের মা বলেন এবার তাঁকে মে’রে দিয়ে, কারণ পারুলও না হলে মায়ের সম্পর্কে সব জেনে যাবে। সেইমতো গুন্ডারা গু’লি করতে যাবে, এমন সময় পারুল আর রায়ান এসে তাদের উচিত শিক্ষা দেয়। গ্রাম প্রধানকে বাঁচিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়। তিনি জানান পারুলের মা এই গ্রামের সবার বিনামূল্যে চিকিৎসা করেন মঙ্গলবারের হাটে, ওখানে গেলে দেখা হতে পারে।
