জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ধানুকে নিয়ে রাজবাড়িতে গৃহপ্রবেশ হয় ফুলকিরও। আলতার পাত্রে পা রাখতেই ধানুকে থামিয়ে দিয়ে ছোট রানী বলেন, আজ থেকে সে রাজবাড়ির পুত্রবধূ তাই এই বাড়ির কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে তাঁকে। আর অতীতকে ভুলে নতুনভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে, হবে যাতে ভবিষ্যতে রানীর জায়গা নিয়ে পারে সে। এরপর বাড়িতে প্রবেশ করে ধানু আর আদিত্য।
রানী মা বলেন আগে নৃসিংহ দেবের মন্দিরে গিয়ে আশীর্বাদ নিয়ে আসতে তারপর ঘরে যেতে। ফুলকি বড় রানী মায়ের খোঁজে তাঁর ঘরের সামনে গেলেই, একজন দ্বার রক্ষী তাঁকে বাধা দেয়। ফুলকি অনেক অনুরোধ করতে থাকে, ঠিক সেই সময়েই ছোট রানী এসে কড়া শব্দে ফুলকিকে বলে যে ভেতরে যাওয়া যাবে না এখন কারণ বড় রানীর শরীর খারাপ, আর এই বাড়িতে পরে মানে পরেই হয়।

ফুলকি নিজের ঘরের দিকে কিছুটা গিয়েও আবার ফিরে আসে আর দেখে ছোট রানী দুজন পরিচারিকাকে নির্দেশ দিচ্ছে যাতে কেউ বড় রানীর ঘরে না ঢুকতে পারে। ফুলকির মনে আরও জেদ চেপে যায়, কৌতূহল হয় কি কারনে একজন অসুস্থ মানুষের ঘরে কারোর ঢোকা নিষেধ। এরপর ধানু আর ফুলকি একসাথে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ঘুমাতে যায়। রাতে ফুলকির কিছুতেই ঘুম আসে না বড় রানীর কথা চিন্তা করে, সে ভাবে একবার রোহিত কে ফোন করে সবটা জানাবে।
অন্যদিকে রোহিত ফুলকি ফোনের অপেক্ষায় বসেছিল এতক্ষন। ফুলকি ফোন করে রোহিতকে সবটা জানায়, রোহিত বাধা দেয় ওই বাড়ির নিয়ম ভেঙ্গে কোনও পদক্ষেপ যাতে ফুলকি না নেয়। ফুলকি হঠাৎ লক্ষ্য করে কেউ একটা চুপি চুপি তাঁদের ঘরের দিকে আসছে। ফোনটা রেখে বাইরে গিয়ে দেখতে পায় আদিত্য এসেছে। ফুলকি আদিত্য আর ধানুকে একা ছেড়ে দেয় কথা বলার জন্য। কিছুটা দূর যেতেই ফুলকির মনে হয় বড় রানী মায়ের সাথে দেখা করা দরকার।
আদিত্য ধানুকে একটা উপহার দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়, আর বলে সে যাওয়ার পরেই যেন সেই উপহার খুলে দেখে ধানু। আদিত্য চলে যেতেই ধানু উপহারটি খুলতে গিয়ে উপর একটি চিঠি পায় যেখানে লেখা, “আমার চোখে যা কিছু সুন্দর প্রথম দিনে তোমার সেটা দিলাম।” উপহারটা খুলতেই ধানু একটা আয়না দেখতে পায়। লজ্জায় লাল হয়ে যায় সে। অন্যদিকে ফুলকি আবার সাহস করে বড় রানী মায়ের ঘরের দিকে যায়।
আরও পড়ুনঃ মঞ্চে পারুলের রুদ্ধশ্বাস অভিনয়! শিরীনকে রায়ান দিল উচিৎ শিক্ষা! ছদ্মবেশে দেখতে এলো তূর্য! মালতীর কণ্ঠে প্রতিবাদের গান! তূর্য-শিরীনের নোংরা খেলায় ফাঁদে পড়ে কি হবে রায়ান-পারুলের?
সবার ঘুমিয়ে থাকার সুযোগ নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে সে। ভেতরে ঢুকতেই দেখে জ্বরে খারাপ অবস্থায় রানী মায়ের। মাথায় জলপট্টি দিয়ে সেবা করে সুস্থ করে তোলে ফুলকি তাকে। রানী মা বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে, ফুলকি লুকিয়ে তাঁকে মন্দিরে নিয়ে যায়। সেখানে ফুলকি রানী মায়ের কাছে তার অতীত জানতে চায়। হঠাৎ ছোট রানী উপস্থিত হয় সেখানে। এরপর কি হবে জানতে চোখ রাখুন আগামী পর্বে।