জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় অ’পহ’রণ’কারীরা ফুলকি আর বড় রানীকে ধরতে আসে। ফুলকি তাঁদের মেরে শুইয়ে দেয় আর বড় রানীও যথা সম্ভব সাহায্য করেন। এরপর ফুলকি একজনের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে, ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বড় রানীকে নিয়ে। অন্যদিকে রোহিতও তাঁদের খুঁজতে খুঁজতে মহনাপুরার জেলে পাড়ায় এসে পড়ে।
জঙ্গলের পথ দিয়ে ফুলকি বড় রানীকে নিয়ে পালাতে থাকে। সকাল হতেই দেখা যায়, তাঁরা দুজনে সারা রাত হেঁটে অবশেষে বড় রাস্তার কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। কিন্তু দুজনেই খুব ক্লান্ত, ফুলকি বলে কোনও বড় গাড়ি দেখলে দাঁড় করিয়ে সাহায্য চাইবে। ঠিক এমন সময় রুদ্র গাড়ি নিয়ে সেখানে হাজির হয়। ফুলকিদের গাড়ি দিয়েই ধাক্কা মারার চেষ্টা করে সে।

একটা গাড়ি দেখতে পেয়ে ফুলকি হাত দেখিয়ে থামাতে যায়, কিন্তু গাড়ি কিছুতেই থামছে না উল্টে তাঁদের দিকেই তেড়ে আসছে দেখে বড় রানী ফুলকিকে ধাক্কা মারে সরিয়ে দেন। নিজেই ধাক্কা খেয়ে তিনি ছিটকে পড়েন আর একটা পাথরে মাথা পড়ার কারণে ফেঁটে যায়। রুদ্র তাও হার মানে না, আবার চেষ্টা করে ধাক্কা মারতে কিন্তু রোহিত এসে পড়াতে সে পালিয়ে যায়।
ফুলকি-রোহিত মিলে রানীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, অপরেশন শুরু হয় তাড়াতাড়ি। তারপর বাকি লোকেরা এসে পৌঁছায়। ডাক্তার বলেন, অনেক রক্তপাত হয়েছে বলে রানীর রক্ত লাগবে কিন্তু সেই রক্ত তাদের কাছে মজুত নেই। ব্লাড গ্রুপের কথা শুনে ফুলকি জানায় তারও একই ব্লাড গ্রুপ। তাড়াতাড়ি করে ফুলকি রক্ত দিতে যায়। এরপর সেখানে এসে পৌঁছায় ছোট রানী আর ছোট কুমার।
ফুলকিকে দোষারোপ করতে থাকেন ছোট রানী, ফুলকি যদি কাউকে না জানিয়ে রাজমহল থেকে নবাবগঞ্জ না আনতো তাহলে বড় রানীর আজ এত ক্ষতি হতো না। এরপর ডাক্তার বেরিয়ে এসে বলেন বড় রানীর ব্রেন হেমারেজ হয়েছে, সেই জন্য আরও একটি অপরেশন প্রয়োজন যার ফলাফল একমাত্র ঈশ্বরের হাতে। একদিকে বড় রানী মারা গেলে তার সম্পত্তি হাতছাড়া হওয়ার ভয় আতঙ্কিত ছোট রানী।
আরও পড়ুনঃ “আপনার কণ্ঠ, অভিব্যক্তি—সবটাই সিনেমার মতো!” কুণালের পর এবার প্রযোজকের থেকে সিনেমার প্রস্তাব পেলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়! আসছেন সিনেমায়?
অন্যদিকে মায়ের সমান বড়মাকে হারানোর ভয় ভেঙে পড়েছে ফুলকি। ঠাকুরের কাছে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করতে থাকে সে। ফুলকি ছুটে যায় কালী মায়ের মন্দিরে, সেখানে এক ভৈরবী সঙ্গে দেখা হয় তার। তিনি জানান এতদিন যাকে খুঁজছিল ফুলকি তাকে পেয়েও হারাচ্ছে। তার কথাতেই ফুলকি বুঝে যায়, বড় রানীই তার আসল মা।