জি বাংলার ‘ফুলকি’ (Phulki) তে আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় বড় রানী মা ফুলকির কাছে অনুরোধ করেন তাঁর মেয়ে আর স্বামী বেঁচে আছে তাদের খুঁজে এনে দিতে। ফুলকি জানতে চায় ঠিক কিভাবে জানা গেল যে বড় রাজা মশাই মারা গেছেন, কিন্তু রানী মা কিছুই বলতে পারেন না। ফুলকি ঠিক করে যে সত্যিটা বের করতে হলে ছোট রাজাই ভরসা। বড় রানী ফুলকিকে বড় মা বলে ডাকার অনুমতি দেন।
ফুলকি রোহিতকে সবটা খুলে বলে যে তারা ছদ্মবেশে ফলের রস নিয়ে যাবে ছোট রাজার জন্য তারপর বেশি বেশি করে খাইয়ে নেশা হয়ে গেলে সবটা জিজ্ঞেস করে জেনে নেবে। প্রথমে রোহিত রাজি না হতে চাইলেও, ফুলকির অনেক জোড়াবোধিতে রাজি হয়ে যায়। দুজন মিলে ছদ্মবেশ নেয় রাজস্থানের এক হীরকগড় বলে জায়গার রাজা ও রানীর। রাজমহলের ছোট রানীর অনুপস্থিতিতে রাজার সঙ্গে দেখা করতে যায় দুজনে।

উপহারস্বরূপ ফলের রস হাতে ধরাতেই রাজা খুশি হয়ে যান। এরপর ধীরে ধীরে নেশা হতেই বড় রাজার কথা জিজ্ঞেস করতে থাকে ফুলকি। অতীত থেকে উঠে আসে বড় রাজার মৃত্যুর রহস্য, সেখানে জানা যায় তিনি একটি গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গেছিলেন কিন্তু তার দেহ শনাক্ত করা যায়নি। এক লরি এসে গাড়ি উল্টে দিয়ে পিষে দিয়েছিল তাঁকে, ছিন্ন ভিন্ন সেই দেহ একমাত্র ছোট রানী সনাক্ত করেছিলেন।
ফুলকির সন্দেহ আরও বারে যে বড় রানী ঠিক কথাই বলেছেন, বড় রাজা হয়তো বেঁচে আছেন। স্বাগতা ম্যাডামের কাছে সাহায্য চাইতে যায় তদন্তের জন্য ফুলকি আর রোহিত। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারে রাজমহলের ছোট কুমার অর্থাৎ ইন্দ্রকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বেআইনিভাবে নেশা করে গাড়ি চালাতে গিয়ে একজন বৃদ্ধকে ধাক্কা মারার জন্য।
আরও পড়ুনঃ বন্ধুত্বের সীমানা ছাড়িয়ে গেল রায়ান-পারুলের সম্পর্ক! পারুলের মাতাল স্বীকারোক্তিতে দাদুর মাথায় বাজ! শিরীনের চোখের সামনে প্রেমে মাতাল রায়ান-পারুল! এবার বদলা নিতে এক হবে শিরীন-তূর্য?
অন্যদিকে দেখা যায় ছোট রানী উদ্বিগ্ন ইন্দর পরিস্থিতি নিয়ে। তিনি সেক্রেটারি মশাইকে জানান যেভাবেই হোক ইন্দ্রকে বের করতে হবে ক্ষমতার জোরে। ছোট রানী বলেন ধানু এখন রাজবাড়ির সদস্য, তাঁর উকিল হওয়ায় সুযোগ নিয়েই ইন্দ্রকে বের করতে হবে,পুলিশ কর্মকর্তা স্বাগতাও ফুলকির খুব ভালো বন্ধু তাই সেটা কেও কাজে লাগাতে হবে। ইন্দ্রকে গ্রেফতার করার অপরাধে নানান হুম’কি আসতে থাকে স্বাগতার উপর।
পুলিশের থেকে জানতে পারে ফুলকি আর রোহিত যে তাদের ডাক্তার কাকাকে ধাক্কা মেরেছে ইন্দ্র এবং তার পরিস্থিতি খুব সংকট জনক। এই পরিস্থিতিতে ধানু বুঝতে পারেনা যে কার পক্ষে কেস লড়বে, ফুলকি সাহস যোগায় অন্যায়ের সাথে আপোষ না করতে। ধানু গিয়ে ছোট রানীকে জানিয়ে দেয়, ইন্দ্র যা করেছে সেটা আইনের চোখে অপরাধ তাই ইন্দ্র হয়ে সে লড়তে পারবে না। এরপর কি করবেন ছোট রানী? জানতে হলে চোখ রাখুন পরবর্তী পর্বে।