জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায়। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ফুলকি-রোহিত গ্রামের পর গ্রাম খুঁজতে থাকে বড় রাজাকে। কিন্তু কেউই কোনও খোঁজ দিতে পারে না ছবি ছাড়া। সব গ্রাম খুঁজেও যখন কিছু মেলে না, ইন্সপেক্টর সংযুক্তা তাঁদের বলে যে এই গ্রামের পর রাজমহল শেষ। এরপর অন্য জায়গা শুরু আর সেখানে রাজমহলের পুলিশ হয়ে তার যাওয়া বারণ।
ফুলকি সিদ্ধান্ত নেয় যে এতদূর যখন এসেছে, তখন পাহাড়পুর এলাকার গ্রামাঞ্চলেও খোঁজ করেই ফিরবে। এদিকে রুদ্র লুকিয়ে লুকিয়ে সবটা শুনে একটা তৃপ্তির হাসি নিয়ে বলে, ওখান থেকে আর ফুলকিরা ফিরবে না। ফুলকি-রোহিত ‘কুরুচী’ গ্রামে পৌঁছাতে সন্ধ্যে নেমে যায়। গ্রামের মোড়লের খোঁজ করতে গিয়ে তারা জানতে পারে উনি এখন গ্রামে নেই।

রোহিত অনেক করে ফুলকিকে বুঝিয়ে সেখান থেকে ফিরতে রাজি করায়, কিন্তু গাড়ী চালাতে গিয়ে রোহিত দেখে গাড়ি চলছেই না। অগত্যা তাদের গ্রামে ফেরৎ যেতে হয়। সেখানে লক্ষ্মী নামের এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁদের। লক্ষ্মী ফুলকিদের রাতে থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দেয়। যদিও রোহিতের একটু সন্দেহ হয়, কিন্তু ফুলকি যেন লক্ষ্মীকে আত্মীয় মেনে নিয়েছে।
গ্রামের স্কুল বাড়িতে ফুলকিদের থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। রাত বাড়তেই হটাৎ লক্ষ্মী কাঁদতে কাঁদতে এসে ফুলকি-রোহিতকে জানায়, তাঁর স্বামীকে কিছু গুন্ডা ধাওয়া করে নিয়ে গেছে। লক্ষ্মীকে আশ্বস্ত করে ফুলকিরা বেরিয়ে যায় তাঁর স্বামীর খোঁজে। খুঁজতে খুঁজতে গ্রামের শেষ প্রান্তে, জঙ্গলের মাঝখানে এসে পৌঁছায় তারা। লক্ষ্মী তাঁদের একটা পথের সন্ধান দেয়।
আরও পড়ুনঃ পারুল-রায়ানকে দাদুর নিষ্ঠুর শাস্তি! রাস্তায় পারুল, হোস্টেল থেকে বিতাড়িত রায়ান! রায়ানের উপর প্রাণঘাতী হামলা! ডিভোর্সের পথ ছেড়ে এবার জীবন-মৃ’ত্যুর লড়াইয়ে পারুল-রায়ান!
যেটার ব্যাবহার করে তাড়াতাড়ি তাঁরা গুন্ডাদের কাছে পৌঁছাতে পারবে। কিন্তু কিছু দুর সেই পথ দিয়ে যেতেই চোরা বালিতে আটকে পড়ে দুজনে। লক্ষ্মীর নাম ধরে ফুলকি সাহায্যের জন্য বারবার ডাকতে থাকলেও কেউ আসে না। আসলে রুদ্রর ষড়যন্ত্রের একটা পেয়াদা লক্ষ্মী। ফুলকি রোহিত যখন একদম বালিতে ডুবে যাচ্ছে, কোনও এক অজ্ঞাত ব্যক্তি তাঁদের উদ্ধার করে। কিন্তু কে সে?