জি বাংলার ‘ফুলকি’তে (Phulki) আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় ফুলকি গুরুজির ঘরের দরজায় জোরে জোরে আঘাত করতে থাকে, হঠাৎ দরজা খুলে গুরুজি নিজের থেকেই বাইরে বেরিয়ে আসেন। ফুলকি অবাক হয়ে যায়, এটা কি করে সম্ভব ভাবতে থাকে সে। ছোট রানী ফুলকিকে প্রশ্ন করতে থাকে, কি করে সে তাঁর গুরুজিকে অপমান করার সাহস পেল। ধানুকে এর বিহিত করতে বলেন রানী।
ঠিক এমন সময়ে ফুলকির মনে হয়, হয়তো কোনও সুড়ঙ্গ বা গুপ্ত পথ দিয়ে রুদ্র সংশোধনাগার দিয়ে পালিয়ে এখানে গুরুজি সেজে লুকিয়ে আছে। একটা বড় পদক্ষেপ নিয়ে ফেলে সে। সবাইকে উপেক্ষা করে গুরুজির দাড়ি ধরে টান দিতেই বেরিয়ে পরে রুদ্রর আসল চেহারা। মুহূর্তেই ছোট রানীর পরিকল্পনা তাসের ঘরের মতন ভেঙে পড়ে। সবাই রীতিমত হতবাক, একজন দাগী আসামী রাজবাড়িতে গুরুজি সেজে ছিল এতোদিন!

ফুলকি রুদ্রকে ধরতে গেলে সে ফুলকির মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। বাকিরা যখন চারিদিন খুঁজতে ব্যস্ত, ফুলকি ধানুকে নিয়ে গুরুজির ঘর খুঁজতে শুরু করে। ফুলকির দৃঢ় বিশ্বাস এই ঘরেই নিশ্চয়ই কোনও গুপ্ত সুরঙ্গ রয়েছে যেখান থেকে রুদ্র এতোদিন যাতায়াত করত। অনেক খোঁজাখুঁজির পর, অবশেষে সেই গুপ্ত পথের সন্ধান মেলে। কাউকে কিছু না জানিয়েই ফুলকি ধানুকে নিয়ে ওই পথে অগ্রসর হয়।
রাজবাড়ি থেকে অনেক দূরে শেষ হয় সেই পথ। ফুলকি ধানুকে বলে যতক্ষণ না পুলিশ আসছে তাদেরকেই খুঁজতে হবে রুদ্রকে, এইবার আর কোনওভাবে পালাতে দেওয়া যাবে না তাকে। দুজন দু দিক থেকে রুদ্রকে খুঁড়তে শুরু করে। ফুলকি হঠাৎ এক জায়গায় লুকিয়ে থাকতে দেখে রুদ্রকে। ধরতে গেলেই আবার সে পালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ধানু শেষ মুহূর্তে এসে ঘিরে ফেলে।
ধানু একটা লাঠি তুলে নেয় হাতে, ফুলকি আর ধানু মিলে আচ্ছা করে শায়েস্তা করে রুদ্রকে। এমন সময় পুলিশ সেখানে এসে উপস্থিত হয় এবং রুদ্রকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ফুলকি রুদ্রকে মনে করিয়ে দেয় তাঁর জায়গা সংশোধনাগারেই, যতবার সে পালানোর চেষ্টা করবে ফুলকি এরম করেই তাঁকে আবার ধরিয়ে দেবে। এরপর পুলিশ আর সাংবাদিকরা মিলে রাজবাড়িতে যায় ছোট রানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে।
আরও পড়ুনঃ আহত শ্রীতমা, অজ্ঞান রাকা ! অভিযুক্তরা প্রভাবশালী, তবু পিছু হটবে না পারুল! অন্যায়ের বিরুদ্ধে পারুলের নতুন লড়াই, পাশে থাকবে কি রায়ান?
এদিকে ইন্দ্রকে ছোট রানী বলেন, তাদেরকেও অন্যদের মতন ভাব নিয়ে থাকতে হবে যাতে মনে হয় তারাও ঠকে গেছে। অন্দরমহলে গিয়ে লুকিয়ে থাকে ছোট রানী, কিন্তু পুলিশ এসে জানায় এখানেই যদি জিজ্ঞাসাবাদ না সম্ভব হয় তাহলে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যেতে হবে। ফুলকি রাজাকে বলে রানী মা যতই লুকিয়ে থাকবেন ওনার ভাবমূর্তি ততই নষ্ট হবে। রানী অবশেষে বেরিয়ে এলে, পুলিশ গ্রেপ্তার করতে যায় তাঁকে।