জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“ভারতের শিল্পীদের ঘর চলে বাংলাদেশীদের মেরে!” অঙ্কিতা ভট্টাচার্যকে কদর্য আক্রমণ বাংলাদেশীদের

বাংলাদেশের সঙ্গে নানান কারণে বিতর্কে জড়িয়ে থাকে ভারত। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকেও মাঝেমধ্যেই বাঁধে গোলযোগ। কখনও রাজনৈতিক কারণে, কখনও খাওয়ায় নিয়ে, ঝগড়া চলেই থাকে তাদের মধ্যে। একসময় একই সুরে যাদের গান বাঁধত, একই সঙ্গে করতেন বেঁচে থাকার লড়াই, একই সঙ্গে সমস্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন যারা, তাদের মধ্যেই আজ এত ভিন্নতা। সময় পাল্টেছে, পাল্টেছে মানুষের চিন্তাধারাও তবুও দুটি দেশের মধ্যে কলহ প্রায়ই আসে সামনে। তবে এইবারের বিতর্কেরও বিষয় সঙ্গীত।

সম্প্রতি বাংলার জনপ্রিয় গায়িকা অঙ্কিতা ভট্টাচার্যকে নিয়ে বেঁধেছে ঝঞ্ঝা। অঙ্কিতা সঙ্গীত জগতে পরিচিতি লাভ করে জি বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীতের শো সারেগামাপায়ের মাধ্যমে। সারেগা মাপাতে বিজয়ী হন তিনি। তারপরই তার জীবনে আসে আমূল পরিবর্তন। গানের জগতে ছড়িয়ে পড়ে তার নাম। তার গাওয়া গান “কমলায় নৃত্য করে থমকিয়া থমকিয়া” গানটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায়। এমনকি সম্প্রতি কাতারে বিশ্বকাপে এই গানটি বেজেছিল। সেখান থেকেই সূত্রপাত ঝগড়ার।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী সিলেটের শাহ্ আবদুল করিম এই গানটি আসল গেয়েছিলেন। তারপর অনেকই গেয়েছেন এই গানটি, অঙ্কিতার এর রিমেক বের করে কিন্তু তাতেই তাকে পড়তে হয় বিতর্কের মধ্যে। একবার মঞ্চে উঠে তিনি এই গানটি গাওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন এই গানটি আর খুব প্রিয়, ঋতাভরীও এই গানটি গেয়েছেন। তাদের এত প্রিয়, পুরনো গানকে নিজের তৈরি বলে দাবি করতেই বাঁধে সমস্যা। তার এই গানের ভিডিও বার করেন তিনি। ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। সারা বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে অঙ্কিতার।

কিন্তু তাদের নিজস্ব গানকে নিজের বলে চালিয়ে দেবার জন্য অঙ্কিতার বিরুদ্ধে সবর হন বাংলাদেশীরা। অঙ্কিতার বিরুদ্ধে তারা বলেন যা গানটি তারা ছোট থেকে শুনে বড় হয়েছেন সেটিকে কিভাবে তিনি নিজের গান বলে চালাতে পারেন। কিছু মানুষের বক্তব্য তাদের এত ঐতিহ্যপূর্ণ গানকে তিনি চুরি করে নিজের নাম দিয়েছেন। কয়েকজন জানান “ভারতীয়দের নিজের তৈরি জিনিসে সন্তুষ্ট নন, তাদের রুজিরুটি চলে বাংলাদেশের মেরে”। এই বিষয়ে অঙ্কিতা কোনও পরিক্রিয়া না দিলেও বোঝাই যাচ্ছে মতবিরোধটি বেড়েছে অত্যাধিক।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

                 

You cannot copy content of this page