জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

কাঁধে ব্যথা দিয়েই মারণ রোগের শুরু! দীপিকার জীবনে একসঙ্গে দুই ক্যানসারের আতঙ্ক!

অভিনেত্রী দীপিকা কক্করের জীবন যেন আচমকাই বদলে গেল এক কঠিন বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে। জানুয়ারির শুরু থেকেই শরীরে অসামান্য কিছু পরিবর্তন টের পাচ্ছিলেন তিনি। তখন হয়তো নিজেই বুঝতে পারেননি সামনে কী অপেক্ষা করছে। অথচ সামান্য কাঁধের ব্যথাই পরবর্তীতে হয়ে দাঁড়াল এক ভয়াবহ যাত্রার সূচনা। এখন যখন তিনি তৃতীয় পর্যায়ের যকৃতের ক্যানসারে আক্রান্ত, তখন পিছনে ফিরে তাকিয়ে সেই শুরুটাকেই বিশ্লেষণ করছেন তিনি।

চলতি বছরের শুরুতেই দীপিকা বুঝতে পারেন তাঁর বাঁ দিকের কাঁধে প্রায়ই ব্যথা করছে। তখন বিষয়টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। বরং, ভাবেন হয়তো কোনও পেশির টান বা সামান্য চোট। কিন্তু ব্যথা বাড়তে থাকায় চিকিৎসকের পরামর্শে করান ম্যামোগ্রাফি পরীক্ষা। এই পরীক্ষাতেই প্রথম ধরা পড়ে, বাঁ স্তনে একটি মাংসপিণ্ডের অস্তিত্ব রয়েছে। ফলে স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায়নি।

জানুয়ারির রিপোর্টে দেখা যায়, দীপিকার লিম্ফ নোডের আকার বড়। বিষয়টি নিয়েও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন চিকিৎসকেরা। তাই পরামর্শ দেওয়া হয় তিন মাস পর ফের ম্যামোগ্রাফি করানোর। ততদিনে দীপিকার মধ্যে আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। শরীর ক্রমশ দুর্বল হতে থাকে। কিন্তু তখনও কেউ বুঝতে পারেননি, দেহের ভিতরে ধীরে ধীরে জেগে উঠছে আরও বড় এক বিপদ।

মে মাসে এসে অবশেষে ধরা পড়ে, দীপিকার যকৃত ক্যানসার রয়েছে এবং সেটি তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে এনে নিজেই সবাইকে জানান দীপিকা। সেই থেকেই অস্ত্রোপচার ও চিকিৎসার মাধ্যমে লড়াই শুরু করেন তিনি। ক্যানসার ধরা পড়ার দেড় মাস পরে আবারও ম্যামোগ্রাফি করানো হয়। সেখান থেকে স্বস্তির খবর আসে— স্তনে আর কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি।

আরও পড়ুনঃ ২২ বছর আগের ছায়া, অফিসে আজ অপুর অন্য রূপ! আর্যর প্রতিশ্রুতি ভাঙার আসল কারণ জানতেই মুখ ফিরিয়ে নিল অপর্ণা! অপর্ণা-আর্যর সম্পর্কে দুরত্ব বাড়াচ্ছে ভাগ্য! মীরার পাশে দাঁড়িয়ে কি অপুকে হারাচ্ছে আর্য?

এই সময়ে দীপিকা জানান, পুত্র রুহানকে স্তন্যপান করানোর সময় বাঁ স্তনে ব্যথা অনুভব করতেন। সেই সময়েই বুঝতে পারেন, সমস্যাটি গা-ছাড়া করার মতো নয়। যদিও শেষমেশ ম্যামোগ্রাফির রিপোর্টে স্তনের কোনও বড় বিপদের ইঙ্গিত মেলেনি, তবে দীপিকার লড়াই চলছেই যকৃত ক্যানসারের বিরুদ্ধে। অনুরাগীদের সঙ্গে নিজের এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে গিয়ে বহু অজানা তথ্য সামনে এনেছেন তিনি।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।